ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

৩৮৩ কোটি টাকা আত্মসাত : এবি ব‌্যাংকের ৬ পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪২, ৯ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৩৮৩ কোটি টাকা আত্মসাত : এবি ব‌্যাংকের ৬ পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিটিসেলের নামে ৩৮৩ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এবি ব্যাংকের দুই পরিচালক ও চার প্রাক্তন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. সামসুল আলম।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন- পরিচালক শিশির রঞ্জন বোস, সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, প্রাক্তন পরিচালক মিশাল কবির, ফাহিমুল হক, বি বি সাহা রায় ও  মো. মেজবাহুল হক।

এর আগে গত ১ অক্টোবর এবি ব্যাংকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও পরিচালক এম ওয়াহিদুল হকসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

২০১৭ সালের ২৮ জুন রাজধানীর বনানী থানায় করা মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান, তার স্ত্রী নাছরিন খান, সিটিসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহবুব চৌধুরীসহ মোট ১৬ জনকে আসামি করা হয়।

এম মোরশেদ খান ও তার স্ত্রীকে তলব করা হলেও অসুস্থতাজনিত কারণে হাজির না হয়ে তারা এক মাসের সময় চেয়ে আবেদন করেন।

মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের মূল কোম্পানির নাম প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড (পিবিটিএল)। এম মোরশেদ খান এর চেয়ারম্যান। তার স্ত্রী নাছরিন খান পিবিটিএলের পরিচালক।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সিটিসেলের নামে এবি ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। দেনার দায়ে ২০১৬ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিটিসেলের হাত ধরেই দেড় যুগ আগে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন সেবার যাত্রা শুরু হয়েছিল।

১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (বিটিএল) নামে টেলিকম সেবা পরিচালনার লাইসেন্স পায় সিটিসেল। পরের বছর হংকং হাচসন টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেড এ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে বিটিএল নাম বদলে হয় হাচসন বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (এইচবিটিএল)।

১৯৯৩ সালে মোরশেদ খানের মালিকানাধীন প্যাসিফিক মোটরস ও ফারইস্ট টেলিকম মিলে এইচবিটিএলের শেয়ার কিনে নিলে এ কোম্পানির মালিকানায় পরিবর্তন আসে। কোম্পানির নাম বদলে হয় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড।

প্যাসিফিক মোটরস যখন সিটিসেলের মালিকানায় আসে, মোরশেদ খান তখন মন্ত্রীর পদমর্যাদায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিনিয়োগবিষয়ক বিশেষ দূতের দায়িত্বে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের সময়ে সিটিসেল যখন লাইসেন্স পায়, মোরশেদ খান তখন ছিলেন জাতীয় পার্টির কোষাধ্যক্ষ।

একমাত্র অপারেটর হওয়ার সুযোগে সিটিসেল বিএনপি সরকারের সময়ে একচেটিয়া ব্যবসা করে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর আরো কোম্পানিকে মোবাইল ফোন সেবার লাইসেন্স দেওয়া হলে সেই একচেটিয়া ব্যবসার অবসান ঘটে।

এরপর ধুঁকতে থাকা এই কোম্পানিতে ২০০৪ সালে বিনিয়োগ করে সিঙ্গাপুরের সিংটেল। কিন্তু ব্যবসার আর প্রসার ঘটেনি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ কোম্পানির ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক মোরশেদ খানের প্যাসিফিক মোটরস লিমিটেড।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ অক্টোবর ২০১৮/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়