ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

অসময়ে আউশের ফলনে হাসি কৃষকের মুখে

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৬, ১৬ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অসময়ে আউশের ফলনে হাসি কৃষকের মুখে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ফসলের মাঠে এখন থোকায় থোকায় দুলছে আউশ ধান। এই মৌসুমে আউশের ভাল ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

যে মাঠে লবণের চাষ হয় সেই মাঠেই সোনালী ধান। তাও বাম্পার ফলন। চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় এখন দেখা মিলে চোখ জুড়ানো এমন দৃশ্যের।

স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বাঁশখালী উপজেলার বিপুল পরিমাণ জমিতে প্রতিবছর লবণ উৎপাদন হয়। লবণ উৎপাদন শেষে আবহাওয়া পরিবর্তনে অতি বৃষ্টির কারণে লবণ সহিষ্ণু এলাকায় ব্রি-ধান ৪৭ ও ব্রি-ধান ৩৯, জাতের ধান রোপণ করেন কৃষকরা।

অসময়ে উৎপাদিত এই মৌসুমকে ব্রাউশ ধান হিসাবে চিহ্নিত করেছেন কৃষিবিদরা। আউশ ও আমনের মাঝামাঝি সময়ে গত ৩ বছর ধরে বাঁশখালীতে এই ধান উৎপাদন হচ্ছে।

আমন ও আউশ মৌসুম ছাড়াও নতুনভাবে ফসলি জমিতে জুন-জুলাই মাসে এ ধান বীজ রোপণ করে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে কৃষকরা ধান কাটা শুরু করেন। চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বাঁশখালীতে অসময়ের এই ধানকাটা শুরু হয়েছে।  কৃষক পরিবারগুলোতে নতুন জাতের এ ধান কাটা শুরু হওয়ায় খুশির আমেজ বইছে।

বাঁশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, বাঁশখালী উপজেলায় ১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভার মধ্যে জুন মাস থেকে ৬৫০ হেক্টর জমিতে ব্রাউশ ধান চারা রোপণ শুরু হয়। উপকূলীয় ইউনিয়ন গন্ডামারা, ছনুয়া, শেখেরখিল, সরল ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি কৃষকরা ব্রি-ধান ৪৭ ও ব্রি-ধান ৩৯ ধান রোপণ করে থাকেন। এছাড়াও অন্যান্য ইউনিয়নেও এ ধান চাষাবাদ করে থাকেন কৃষকরা। প্রতিবছর মার্চ ও এপ্রিল মাসে আউশ ধান রোপণ এবং জুলাই-আগস্ট মাসে আমন ধান চাষাবাদ শুরু করলেও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সবজি মৌসুমে জুন মাসেই দুই জাতের ধান রোপণ করে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন এখানকার কৃষকরা।

গত তিন বছর ধরেই লবণ চাষের জমিতে বাঁশখালী উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ব্রাউশ নামের ধানের চারা রোপণ করে চাষিরা অক্টোবর থেকেই ফলন ঘরে তুলতে শুরু করেন।

স্থানীয় কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির কারণে অসময়ে লবণ মৌসুমের পর কৃষকরা ধান চারা রোপণে উৎসাহী হয়ে পড়েছে। নতুন জাতের ব্রি-ধান ৪৭ রোপণ করার সুযোগ পেয়ে সার, বিষ প্রয়োগ করে ব্রাউশ ধান ফলাচ্ছে। এতে স্থানীয় কৃষকদের মুখে হাসি ফিরেছে। ফিরেছে স্বচ্ছলতাও।




রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/১৬ অক্টোবর ২০১৮/রেজাউল/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়