ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শিক্ষাবঞ্চিত চরের অনেক শিশু

ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩২, ২০ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিক্ষাবঞ্চিত চরের অনেক শিশু

চর ফারুকির এসব শিশু শিক্ষা আলো বঞ্চিত

ভোলা সংবাদদাতা: দ্বীপজেলা ভোলার সর্বশেষ উপজেলা চরফ্যাশনের অন্তত ২৫টি চরের শিশু শিক্ষা বঞ্চিত।

স্থানীয় সূত্র জানায়, অনেক চরই দুর্গম। এসব চরে পর্যাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকা, অভিভাবকদের অর্থনৈতিক সংকট ও অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে কোমলমতি শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার আলো থেকে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই এমন চরের সংখ্যা যেমন আছে তেমনি যে সকল চরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোতে নিয়মিত পাঠদান হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন এনজিও শিক্ষা কার্যক্রম চালালেও দুর্গম চরগুলোতে এ কার্যক্রম চালাচ্ছে না। ফলে চরাঞ্চলের অনেক শিশু ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও স্কুলে যেতে পারছে না।

স্থানীয়রা জানান, চরফ্যাশন উপজেলায় জনবসতিপূর্ণ চর প্রায় অর্ধশত। এগুলোর মধ্যে কুকরি-মুকরি, চর কচ্ছপিয়া, চর পাতিলা, ঢালচর, চর মনোহর, সিকদার চর, চর লিউলিন, চর ফারুকী, চর হাসিনা, লক্ষির চর চরফ্যাশনের মূল-ভূখন্ড থেকে একেবারই বিচ্ছিন্ন। এসব চরের অধিকাংশ এলাকাতেই প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। যে সব চরে বিদ্যালয় রয়েছে তাও প্রয়োজনের তুলনাই খুবই কম।

জাহাঙ্গির আলম ও গিয়াসউদ্দিন নামে চরাঞ্চলের দু’জন ইউপি সদস্য জানান, চরে বিদ্যালয় না থাকা, শিক্ষক সঙ্কট, দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা ও শিক্ষকদের অনুপস্থিতিই শিশুদের বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার মূল কারণ।

চর ফারুকির বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পোলা পাইনগোরে পড়াইতে ইচ্ছা করে কিন্তু স্কুল নাই। সরকার আমাগো লাইগা কিছু করে নাই।’

একই এলাকার রহিম মাঝি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘সরকার আইয়ে সরকার যায়, আমাগো ভাগ্যের কোন পরিবর্তন অয় না। এহানে সরকার যদি একটা স্কুল দেয় তাইলে আমাগো পোলাইনেরে পড়াইতে পারমু।’

এমন আক্ষেপ জানালেন এই চরের জসিম ব্যাপারিও।  এ চরে ৫ শতাধিক শিশু স্কুল গমন উপযোগী থাকলেও এখানে স্কুল নেই।

এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো: রেজাউল করিম জানান, চরফ্যাশনের অধিকাংশ চর দুর্গম, তারপরও শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করার নানা প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জালাল আহম্মেদ জানালেন, বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু সংখ্যা দিন দিনই কমছে। তবে গত কয়েক বছরে আর্থিক স্বচ্ছলতাসহ নানা কারণে বিভিন্ন চরের প্রায় ৫ হাজারের মতো শিশু ঝরে পড়েছে।



রাইজিংবিডি/ভোলা/২০ অক্টোবর ২০১৮/ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়