শ্যামপুরে নির্বাচনী শোডাউন ইসলামী আন্দোলনের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-৪ আসনের প্রার্থী প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী শ্যামপুরে নির্বাচনী শোডাউন করেছেন।

শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে শ্যামপুর বাজারে এই নির্বাচনী শোডাউন করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এর আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসনের প্রার্থী প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, নির্বাচন কালো টাকার মালিক ও পেশীশক্তির হাতে বন্দি। পেশীশক্তিগুলো জোর ও টাকার প্রভাব খাটিয়ে কাজ হাসিল করে। ফলে যোগ্য, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিকরা নির্বাচিত হতে পারেন না। সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও কায়েমী স্বার্থবাদীদের উৎখাত করে দেশপ্রেমিক, ঈমানদার ও আল্লাহভীরু নেতা নির্বাচন করতে হবে। এজন্য পেশীশক্তি ও কালো টাকার মালিকরা যেন নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারেন সে ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশনকে করতে হবে।’

প্রিন্সিপাল মাদানী বলেন, ‘সংলাপ ফলপ্রসূ করতে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে এবং চলমান সংলাপ অব্যাহত রেখে সমাধানের পথ বের করতে হবে।’

সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও কেএম আতিকুর রহমান।

শ্যামপুর থানা সভাপতি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আলহাজ আনোয়ার হোসেন, মাওলানা ক্বারী মাসউদুর রহমান চাঁদপুরি, হাজী শফিকুল আমীন খান, হাজী এমদাদুল ফেরদাউস, আজিজুল হক আজিজ, আলহাজ ই্উনুছ মাস্টার, হাজী মনোয়ার হোসেন মনা, মাওলানা আব্দল হক, মাওলানা বাছির উদ্দিন মাহমুদ, হাজী বেলাল হোসাইন আরিফ।

যুব আন্দোলন ঢাকা দক্ষিণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব আলহাজ আমিনুল ইসলাম বলেছেন, যৌবন মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর যুব সমাজ দেশ ও জাতি গঠনের মূল চালিকাশক্তি। এ লক্ষ্য অর্জনে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত যুব সমাজের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের জনসংখ্যার বৃহৎ অংশই যুবসমাজ। জ্ঞানমুখী, প্রশিক্ষিত ও আদর্শ যুব সমাজ জাতির মেরুদণ্ড।

শুক্রবার ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কর্তৃক আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মহানগর সভাপতি মুফতি মানসুর আহমদ সাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশলী আতিকুর রহমান মুজাহিদ, নগর নেতা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, মুফতি আব্দুল মুমিন সিরাজী।

উপস্থিত ছিলেন জানে আলম সোহেল, মুক্তাদির হোসাইন মারুফ, শেখ মুহাম্মদ রাশেদ, কে এম শামীম আহমেদ, ওয়ালি উল্লাহ তালুকদার, জহিরুল ইসলাম, আল আমিন আল ইহসান, আবুল হুসাইন, গোলামুর রহমান আজম, মিজানুর রহমান, নাজিম উদ্দিন ও মজিবুর রহমান।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ নভেম্বর ২০১৮/নঈমুদ্দীন/শাহনেওয়াজ