ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরা ক্ষমতায় যেতে বিরোধীদের পক্ষ নিয়েছে’

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৬, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরা ক্ষমতায় যেতে বিরোধীদের পক্ষ নিয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী, আ স ম রবের মতো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরা ক্ষমতায় যাবার স্বপ্নে বিভোর হয়ে রাতারাতি জামায়াতের মতো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিদের পক্ষ নিয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টো রোডে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর বাসভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

রাশেদ খান মেনন বলেন, তারা (ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী ও আ স ম আবদুর রব) বিএনপির সাথে ঐক্যের কথা বলে ভিতরে ভিতরে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বংশধর ও অপশক্তি জামাতের সাথে আঁতাত করেছে। নির্বাচনে জিততে মরিয়া হয়ে তারা এখন জামায়াতের দাড়িপাল্লায় বিএনপির ধানের শীষ তুলে দিয়েছে। অথচ এই জামাত ও যুদ্ধাপরাধীরা আমাদের দেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাসও করে না, মানেও না।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে কিছু প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় প্রসঙ্গে রাশেদ খান মেনন বলেন, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে কিছু প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায়  বিএনপি নির্বাচন কমিশনের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করছে। অথচ তারা নিজেরাও জানে, তাদের দল দুর্নীতিতে পাঁচ পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সুতরাং দুর্নীতি সংক্রান্ত ঝামেলাসহ নানা অনিয়ম নিয়ে তাদের তথাকথিত হেভিওয়েট প্রার্থীরা যে মনোনয়ন থেকে ছিটকে যাবে, এটা তারাও জানে। কিন্তু তারা এগুলোর মধ্য দিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটা ইস্যু বানাতে চাচ্ছে এবং নির্বাচন কমিশনকে চাপে রাখতে চাচ্ছে। সুতরাং তাদের এই নাকি কান্নায় আর কোনো লাভ হবে না।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের খেলায় মেতে উঠতে ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নীলনকশা সাজাতে সংসদীয় ৩০০টি আসনে তাদের ৮০০ জন প্রার্থীকে নমিনেশন দিয়েছিল। এটা থেকে নির্বাচন নিয়ে তাদের দুরভিসন্ধি স্পষ্ট ফুটে ওঠে। কিন্তু তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই আর কাজে লাগবে না। দেশের মানুষ এবারের নির্বাচনে উন্নয়নের পথ থেকে একচুলও সরবে না।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকবর আলী, সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা চৌধুরী, কারিগরি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব সরকার, কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সোহরাব মোরশেদ, সাধারণ সসম্পাদক জাহিদ আলম, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম মিয়াসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ ডিসেম্বর ২০১৮/আসাদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়