ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

৬ দফা দাবিতে জুবায়েরপন্থিদের সংবাদ সম্মেলন

হাসমত আলী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৬ দফা দাবিতে জুবায়েরপন্থিদের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : যথাসময়ে দুই পর্বের ইজতেমা করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসহ ছয় দফা দাবিতে গাজীপুরে জুবায়েরপন্থি আলেমগণ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা গত ১ ডিসেম্বর টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ওলামায়ে কেরাম, মাদ্রাসার ছাত্র ও সাধারণ তাবলিগি সাথীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিচার ও শাস্তি দাবি করেন।

শনিবার সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভুরুলিয়া এলাকায় তাবলিগ জামাতের গাজীপুর মারকাজে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুফতি তাওহীদুল হক বলেন, “তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে কোরআন ও সুন্নার ভিত্তিতে সার্বজনীন কিছু উসুলের সাথে পরিচালিত হচ্ছে। সময়ের পরিক্রমায় ইজতেমার মুরব্বিগণ মারা যাওয়ার পর তাদের শুন্যস্থান পূরণ না করে হঠাৎ মাওলানা সা’দ নিজেকে আমির দাবি করে এককভাবে গুরুত্বপূর্ণ দাওয়াতি ও আমলি কাজের ফয়সালা দিতে থাকেন। এ ছাড়া তিনি কোরআন ও হাদিসের নিজস্ব মতামত ও মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে ওলামায়ে কেরামদের বিরাগভাজন হন। তিনি তাবলিগের মূল উসুল থেকে সরে গিয়ে নতুন নতুন উসুলের সমাবেশ ঘটান। বিশেষ করে আমভাবে মাছআলা বয়ান করে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। তার কার্যকলাপের ওপর বহুবার তাকে সতর্ক করা হয়। এতদসত্ত্বেও তিনি নিজস্ব মতাদর্শের ওপর অটল থাকেন। এ ব্যাপারে প্রথমে নিযামউদ্দিনে বিভেদ সৃষ্টি হয়।  এক পর্যায়ে নিযামউদ্দিন থেকে বড় বড় হজরত ওলামায়ে কেরামগণ প্রতিবাদ স্বরূপ বের হয়ে নিজ নিজ এলাকায় চলে যান।”

তিনি বলেন, “মাওলানা সা’দ এর কোরআন, সুন্না, শরিয়ত পরিপন্থি কার্যকলাপের ওপর বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধর্মীয় বিদ্যাপীঠ দেওবন্দ ভারত থেকে মাওলানা সা’দকে অনুসরণ করা যাবে না বলে ফতোয়া জারি করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশসহ বিশ্বের বড় বড় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও জমহুর ওলামায়ে কেরাম মাওলানা সা’দকে অনুসরণ করা যাবে না বলে একমত পোষণ করেন।”

সংবাদ সম্মেলনে মুফতি তাওহীদুল হক তাদের ছয়দফা দাবি তুলে ধরেন। ছয় দফা দাবি গুলো হচ্ছে- ওয়াসিফ-নাসিমগং ও প্রত্যক্ষভাবে হতাহত করার কাজে জড়িতদের ন্যায়বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ওয়াসিফ-নাসিম পদলোভী ব্যক্তিদের তাবলিগের শুরা থেকে বহিষ্কার করা, টঙ্গী ময়দান অনতিবিলম্বে ময়দানের শুরার সাথীদের তত্ত্বাবধানে ফিরিয়ে আনা, যথাসময়ে দুই পর্বে ১৮-২০ জানুয়ারি ও ২৫ থেকে ২৭ জানুয়ারি) ইজতেমা করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, কাকরাইল ও টঙ্গীর ময়দান মাওলানা সা’দ-ওয়াছিফপন্থিদের কবল থেকে মুক্ত করা এবং যেহেতু জমহুর ওলামায়ে কেরাম ও মাশায়েকদের দৃষ্টিতে মাওলানা সা’দ কোরআন-হাদিসের পরিপন্থি ও শরিয়ত ও আকিদা বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি লালন করছেন। তাই সা’দপন্থি বিভ্রান্ত ফেরকার কোনো কার্যক্রম বাংলাদেশে চলতে না দেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে ইজতেমার গাজীপুরের শুরা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর নূর, প্রফেসর নুরুজ্জামান, ড. রেজাউল করিম ও মো. ইব্রাহিম এবং মাওলানা মুফতি নূরুল ইসলাম, মুফতি লেহাজ উদ্দিন, মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা আতাউর রহমান, আলহাজ জুলফিকার হায়দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ১ ডিসেম্বর ইজতেমা ময়দানে হামলায় আহত বেশ কিছু মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

রাইজিংবিডি/গাজীপুর/৮ ডিসেম্বর ২০১৮/হাসমত আলী/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়