সরিষাবাড়িতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ৩০

জামালপুর সংবাদদাতা: জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার পিংনা নরপাড়া গ্রামে আওয়ামী লীগ, গ্রামবাসী ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৯ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত: ৩০ আহত হয়েছে।

সংঘর্ষ চলাকালে ব্যাপক বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশও টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট ব্যাবহার করে।

জামালপুরের সরিষাবাড়ি পিংনা নরপাড়া গ্রামে আওয়ামীলীগ কর্মী জাহিদুলের হত্যাকান্ডের ঘটনার জের ধরে আওয়ামীলীগ, গ্রামবাসী ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে বাড়ি-ঘর ভাংচুর অগ্নিসংযোগ, পুলিশে টিয়ার সেল ও রাবার বুলেটে ৯ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত: ৩০ আহত আহত হয়েছে।

গুরুতর আহত ইউসুফ আকন্দ ও নুরু আকন্দকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে জামালপুর জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, স্থানীয় আওয়ামীলীগ কর্মী জাহিদ হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে ছাড়া পেয়ে শুক্রবার সকালে আবু সাইদের নেতৃত্বে মামলার বাদীপক্ষের মোস্তফা ও ইউসুফ নামে দুইজন পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগের এক পক্ষের লোকজন অপর আসামী পক্ষের লোকজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অন্তত ২০টি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ৪ রাউন্ড টিয়ার সেল ও ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় ইউসুফ আকন্দ (৩৮), নুরু আকন্দ (৭০), শফিক (২৪), আক্তার হোসেন (৫৫), জনি (২০) ও সামছুল আকন্দসহ ৯ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়।  এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার তারাকান্দি-ভুঞাপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধরা।

সরিষাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২ রাউন্ড টিয়ার সেল ও ২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা কথা স্বীকার করলেও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ায় বিষয়টি অস্বীকার করেন।

তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য,৩১ মে বৃহস্পতিবার সরিষাবাড়ীর পিংনার নরপাড়া বালুঘাটের আধিপত্য বিস্তার দুপক্ষের সংঘর্ষে জাহিদুল হক নামে এক আওয়ামীলীগ কর্মী মারা যায়।




রাইজিংবিডি/ জামালপুর/২৯ ডিসেম্বর ২০১৮/সেলিম আব্বাস/টিপু