ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘চলতি বছরে বেগবান হবে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম’

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১০, ১ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘চলতি বছরে বেগবান হবে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম’

এম এ রহমান মাসুম : দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যক্রম আরো বেগবান করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে মঙ্গলবার রাইজিংবিডির সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, আমি এ মুহূর্তে এই বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেব না। আগে সরকার গঠিত হোক। দুর্নীতি বিরুদ্ধে আমাদের কার্যক্রম চলতে থাকবে। এই কার্যক্রমকে কীভাবে আরো বেগবান করা যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনা থাকবে।

দুর্নীতি প্রতিরোধকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে ২০১৮ সালে অভিযান বাড়ায় সংস্থাটি। গত বছর দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুই শতাধিক অভিযান চালানো হয়। এসব অভিযানে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। ২০১৮ সালে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান বৃদ্ধি পেলেও মামলা ও চার্জশিটের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে আশঙ্কাজনক হারে। তবে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে সাজার হার।

২০১৬ সালের ১৪ মার্চ কমিশনের পঞ্চম চেয়ারম্যান হিসেবে ইকবাল মাহমুদ দায়িত্ব নিয়ে পার করেছেন আড়াই বছরের বেশি সময়। বছরব্যাপী দুদকের কার্যক্রম প্রসঙ্গে রাইজিংবিডিকে তিনি বলেন, ‘আমি এ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নিয়েছি আড়াই বছর আগে। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সকলের সহযোগিতা লাগবে। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ কিছুটা হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। সেখানে আমাদের সংস্থার ব্যর্থতা রয়েছে।’

যেখানে প্রতারণা, জালিয়াতি, সরকারি সম্পদ আত্মসাতসহ বিভিন্ন দুর্নীতির ঘটনা সেখানেই অভিযান- এ লক্ষ্য নিয়ে চলতি বছরের জুলাই মাসে তাৎক্ষণিক অভিযান চালাতে কমিশন এনফোর্সমেন্ট সেলের কার্যক্রম শুরু হয়। রাজধানী থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ে চলছে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান। এতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তরের অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। কর্মদিন কিংবা সরকারি ছুটির দিনেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সারা দেশে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ইতিমধ্যে বিআরটিএ, পাসপোর্ট অধিদপ্তর, বিআরটিএ, বিমানবন্দর, জেলখানা, সিভিল সার্জন অফিস, ওয়াসা, হজ এজেন্সি, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), শিক্ষা ভবন, বিভিন্ন হাসপাতাল, সিএজি, বিএসটিআই, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুই শতাধিক অভিযান চালানো হয়। বিশেষ করে, সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনায় গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

অন্যদিকে, ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে অভিযোগ, মামলা ও চার্জশিটের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক হ্রাস পায়। ২০১৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত পার্থক্যটা অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রায় ৫ হাজার ৭৭৩ এবং মামলার ও চার্জশিটের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৩৩ ও ১২৪টি। ২০১৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দুদকে মামলা ও আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল হয় যথাক্রমে ২২২টি ও ৩৫৪টি। যেখানে ওই একই সময়ে চলতি বছরে মামলা ও চার্জশিট দাখিল হয়েছে ১৮৯টি ও ২৩০টি। ২০১৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ২২৭টি অভিযোগ দুদকে জমা হয়। তবে ওই সময়ে বেড়েছে সাজার হার। ২০১৭ সালে কমিশন ও ব্যুরো আমলের মামলা মিলিয়ে সাজার হার ছিল ৫৮.৬৮ শতাংশ। গত ২০১৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সাজার হার বেড়ে ৬৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ জানুয়ারি ২০১৯/ এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়