ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

২০১৮: সক্ষমতা বৃদ্ধির বছর চট্টগ্রাম বন্দরের

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫১, ৩ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২০১৮: সক্ষমতা বৃদ্ধির বছর চট্টগ্রাম বন্দরের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে  প্রায় ৮০ ভাগ আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। বছরজুড়ে ব্যস্ত এই বন্দর ২০১৮ সালে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং-এ রেকর্ড গড়েছে। এই রেকর্ড গড়ার নেপথ্যে রয়েছে বন্দরের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে নানামুখি পদক্ষেপ। এর ফলে বেড়েছে বন্দরের সক্ষমতা।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক রাইজিংবিডিকে জানান, ২০১৮ সালটি মুলত চট্টগ্রাম বন্দরের এগিয়ে যাওয়ার বছর ছিল। এই বছরেই বন্দরে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন আধুনিক ইকুইপমেন্ট। যুক্ত হয়েছে ছয়টি অত্যাধুনিক গ্যান্ট্রি ক্রেন। এর ফলে বন্দরে দৈনিক কন্টেইনার উঠানামার সক্ষমতা বেড়েছে। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসেই বন্দর কন্টেইনার হ্যান্ডলিং-এর নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে।

বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত বন্দরে এক মাসে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং-এর রেকর্ড ছিলো ২ লাখ ৫৯ হাজার ২১০ টিইইউএস। নভেম্বর মাসে সেই রেকর্ড ভেঙে ২ লাখ ৬৫ হাজার ১৬৫ টিইইউএস (২০ ফুট সাইজের কন্টেইনারের আকার হিসাবে) কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করে নতুন রেকর্ড গড়ে চট্টগ্রাম বন্দর।

বন্দরে নতুন ছয়টি কী গ্যান্ট্রি ক্রেন সংযোজনের পাশাপাশি বন্দর কর্তৃপক্ষের অপারেশনাল কার্যক্রমে সমন্বয় বৃদ্ধির ফলেই বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে গতিশীলতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব জানান, ২০১৮ সালেই চট্টগ্রাম বন্দরে নির্মিত হয়েছে নতুন ইয়ার্ড, নতুন নতুন কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের উপযোগী ভারী ও মাঝারি ইক্যুইপমেন্টস (যান্ত্রিক সরঞ্জাম) সংযোজন হয়েছে, বন্দরে তথ্যপ্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া বন্দর ব্যবহারকারী তথা স্টেক হোল্ডাররা সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এ কারণে আমদানি-রপ্তানিমুখী কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড গড়ছে বন্দর।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আমদানি-রপ্তানিতে আরো গতিশীল অনুকুল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে চট্টগ্রাম বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে। আগামী দিনে বন্দরের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করতে হবে। বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান আমদানি-রপ্তানির চাহিদা ও চাপ সামাল দেওয়ার লক্ষ্যে বন্দরের অবকাঠামো সুবিধাসহ নতুন নতুন ইয়ার্ড, টার্মিনাল নির্মাণ, যন্ত্রপাতি সংযোজন করা প্রয়োজন রয়েছে।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/২ ডিসেম্বর ২০১৮/রেজাউল/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়