ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

অবশেষে মধুমতি বাওড়ে বাঁশের সাঁকো

বাদল সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অবশেষে মধুমতি বাওড়ে বাঁশের সাঁকো

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: অবশেষে নিজেদের উদ্যোগেই গোপালগঞ্জের মধুমতি বাওড়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে নিল এলাকাবাসী।

স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও মধুমতি বাওড়ে একটি ব্রিজের অভাবে যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছিল কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের মানুষ।

দূর্ভোগ লাঘবে সরকারি উদ্যোগের আশায় থেকে থেকে অবশেষে এলাকাবাসী নিজেরাই বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছে।

এলাকাবাসী জানান, কাশিয়ানী ও লোহাগড়া উপজেলার ১৫টি গ্রামের মানুষকে নৌকায় মধুমতি বাওড় পার হয়ে হাট-বাজার, ব্যাংক, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে হয়। তবে সড়ক পথে যাতায়াত করতে হলে প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়। অথচ মধুমতি বাওড় পার হয়েই খুব অল্প সময়ে বৃহত্তম পশুরহাট, পরানপুর বাজার ও রাতইল ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াত করতে পারে এই ১৫ গ্রামের মানুষ। কিন্তু সরকারিভাবে বিষয়টির সুরাহা না হওয়ায় রাতইল ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য রিজাউল মোল্যার তত্ত্বাবধানে ওই মধুমতি বাঁওড়ের উপর একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। এরফলে একদিকে যেমন যাতায়াতের পথ কমেছে অন্যদিকে দীর্ঘদিনের একটি দূর্ভোগ লাঘব হয়েছে।

এলাকার মোস্তফা মিনা বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা নৌকায় বাঁওড় পার হয়ে কাশিয়ানী সদরে যাতায়াত করে আসছি। পারাপারের এ দূর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে আমরা সম্মিলিতভাবে অর্থ ও বাঁশ তুলে মধুমতি বাওড়ের উপর সাঁকোটি তৈরি করেছি। এতে দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ লাঘব হয়েছে।’

রাতইল ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য রিজাউল মোল্যা বলেন, ‘স্থানীয়দের সহায়তায় মধুমতি বাঁওড়ের উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। এতে দীর্ঘ ৪৭ বছরের যাতায়াত কষ্ট দূর হয়েছে।’

রাতইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বি.এম হারুন অর রশিদ (পিনু) জানান, স্থানীয়দের নিজস্ব উদ্যোগে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখাতে কোন বরাদ্দ না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন আর্থিক সহযোগিতা করা সম্ভব হয়নি। তবে সাঁকোটি নির্মাণ করায় তিনি এলাকাবাসীকে স্বাগত জানান।

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমি এলাকাবাসীর উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণের বিষয়টি শুনেছি। এই মহৎ কাজের সাথে জড়িতদের সাধুবাদ জানাই।’




রাইজিংবিডি/ গোপালগঞ্জ/১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/বাদল সাহা/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়