ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বন্ধ হচ্ছে প্রেক্ষাগৃহ : কী ভাবছেন তারা

রাহাত সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৯, ১৫ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বন্ধ হচ্ছে প্রেক্ষাগৃহ : কী ভাবছেন তারা

রাহাত সাইফুল : দেশে বিদেশি সিনেমা প্রবেশের সহজ নীতিমালা ও দেশীয় সিনেমা নির্মাণ বাড়ানোর উদ্যোগ না নিলে ১২ এপ্রিল থেকে দেশের সব প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি। ১২ মার্চ দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সমিতির নেতারা।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদিপ্ত কুমার দাস, মিয়া আলাউদ্দিন, সভাপতি ইফতেখার নওশাদ প্রমুখ।

এই ঘোষণার পর চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী, হল মালিকগণ ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করছেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সবদিক বিবেচনা করতে হবে। পরিচালক, প্রযোজক, শিল্পী, হল মালিক, পরিবেশকসহ সবাইকে মুল্যায়ন করতে হবে। কাউকে উপেক্ষা করা যাবে না। আমি যতই ভালো প্রোডাক্ট তৈরি করি না কেন সেটি হলে প্রদর্শন করতে হবে। এই জায়গায় সরকারের দৃষ্টি দেয়া উচিৎ। আমরা খেলাধুলায় অনেক ভর্তুকি দিচ্ছি। আমার মনে হয় আমাদের কৃষ্টি-কালচার ধরে রাখতে সরকারের সহযোগিতা করা উচিৎ। দুনিয়া এখন হাতের মুঠোয় এখন ‘যা তা’ সিনেমা নির্মাণ করলে চলবে না। ভালো কনটেন্ট দর্শকদের দিতে হবে। কিন্তু ভারতীয় সিনেমা এখানে ঢুকতে দেয়া যাবে না। চলচ্চিত্রকে শিল্প ঘোষণা করা হলেও কেউ এর সুবিধা পাচ্ছে না। সিনেমার জন্য এখনো কেউ লোন পাচ্ছে না। মোটকথা ভালো সিনেমা বানাতে হবে। আমার বিশ্বাস হল মালিকরা তাদের অভিমান থেকে হল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা সিনেমার জন্য কত মিটিং মিছিল করেছি কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।’

প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘তথ্য সচিবের সভাপতিত্ত্বে একটি মিটিং হয়েছে সেখানে আমি ছিলাম, গুলজার ভাই, জায়েদ খান, হল মালিক নওশাদ ভাই, সুদিপ্ত বাবুও ছিলেন। আমদানি-রপ্তানি নিয়ে একটি চিঠি দিয়েছিল হল মালিকরা। সেটা নিয়েই মিটিং ছিল। সেখানে আমি একটা কথা বলেছি, দেখেন আপনারা হল মালিক। আমদানি-রপ্তানির বিষয়টা তো প্রযোজকের। আপনাদের তো না। প্রযোজক সিনেমা আমদানি না রপ্তানি করবেন সেটা পুরোটাই প্রযোজকের বিষয়। এখানে হল মালিক আর প্রযোজক সমিতি বসলেই বিষয়টা সমাধান হয়ে যায়। এখানে আর কাউকেই দরকার হয় না। এই দুটি সংগঠন বসে আলোচনা করে মন্ত্রণালয়ে আসলে ভালো ফলাফল হতো।’

সাফটা চুক্তির মাধ্যমে সিনেমা আমদানি প্রসঙ্গে এ প্রযোজক বলেন, ‘সাফটা চুক্তির যে নিয়ম আছে সেটা খুব কঠিন। সেটা শিথিল করা উচিৎ। যেহেতু সাফটার মাধ্যমে বাংলাদেশে সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, সেহেতু সমসাময়িক সিনেমা আনা উচিৎ। সিনেমা মুক্তির কমপক্ষে তিন মাস পরে এ দেশে সিনেমা আনা হয়। কিন্তু তার আগেই অন্য মাধ্যমে সিনেমা চলে আসে। দেশের হল মরে গেছে, হল বাঁচাতে হবে। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা আলোচনার টেবিলে সমাধান করা সম্ভব। গত সপ্তাহের মিটিংয়ে সরকারও ইতিবাচক ছিল। আমরাও চাচ্ছি সাফটার সিনেমা মুক্তি আরো সহজ করে দেওয়া। কারণ হল বাঁচাতে হবে। দেশে যখন খাদ্যের ঘাটতি হয় তখন জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য আমাদিন করতে হয়। এখন হল বাঁচাতে হবে। আমরাও কনটেন্ট দিতে পারছি না। বিদেশ থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক সিনেমা আমদানি করা গেলে সিনেমা হল বাঁচানো যাবে।’

হল থেকে সঠিক প্রাপ্য বুঝে পাচ্ছে না প্রযোজক এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রাপ্য বুঝে না পাওয়ার প্রধান কারণ হলো আমাদের সমিতি না থাকা। প্রযোজক সমিতির নির্বাচন হলে এই সমস্যাটা হতো না।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ মার্চ ২০১৯/রাহাত/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়