ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সেপটিক ট্যাংকে মোবাইল ফোন, প্রাণ গেল দু’জনের

নজরুল মৃধা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০১, ১১ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সেপটিক ট্যাংকে মোবাইল ফোন, প্রাণ গেল দু’জনের

রংপুর কারমাইকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এনামুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর: রংপুরের পীরগঞ্জে একটি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করতে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আরেক জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

মৃতরা হচ্ছেন দুলু মিয়া ও রংপুর কারমাইকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এনামুল হক। এনামুল ঈদের ছুটিতে তার গ্রামের বাড়ি পীরগঞ্জে এসেছিল।

রংপুর কারমাইকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এনামুল হক কলেজ বন্ধ থাকায় ঈদের আগে গ্রামের বাড়ি পীরগঞ্জে গিয়েছিল। কিন্তু সেপটি ট্যাংক থেকে প্রতিবেশি একজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে এই শিক্ষার্থী। এসময় প্রতিবেশি দুলু মিয়াও মারা যায়।  ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ৯টার দিকে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় ।

স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে পীরগঞ্জের বড়ঘোলা গ্রামের ব্যবসায়ী  দুলু মিয়ার মোবাইল ফোনটি  সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায়। ফোনটি উদ্ধার করতে একটি বাঁশ বেয়ে সেপটিক ট্যাংকে নামেন দুলু মিয়া। বেশ কিছুক্ষণ হলে দুলু মিয়ার কোন সারা না পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে কলেজ ছাত্র এনামুল হকও সেপটিক ট্যাংকে নামেন। দুজনই উপরে উঠে না আসায় শাহিন নামে আরেক যুবক সেখানে নামেন। সেও উঠে না এলে এলাকার লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তাদের উদ্ধার করেন।

এরমধ্যে কলেজছাত্র এনামুল হক সেপটিক ট্যাংকে শ্বাসকষ্টে মারা যায়। দুলু মিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। অপরজন শাহিন মিয়াকে পীরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এনামুল হক উপজেলার রামনাথ পুর ইউনিয়নের আজহার আলীর পুত্র এবং দুলু মিয়া একই গ্রামের ময়েস আলীর পুত্র।

পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার নুরুল ইসলাম জানান, আমরা যাওয়ার আগেই এনামুল হকের লাশ এলাকাবাসি উদ্ধার করে। দুলু মিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার পর সে মারা যায়।



রাইজিংবিডি/রংপুর/১১জুন ২০১৯/নজরুল মৃধা/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়