ফরিদপুরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যা!
স্বামী মো. রিপন খন্দকার ও গৃহবধূ শারমিন আক্তার শুভ্রা
ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বানেশ্বরদী গ্রামে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
হতভাগ্য এই গৃহবধূর নাম শারমিন আক্তার শুভ্রা। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার লোহাইড় গ্রামের মৃত. আকাই হোসেন ঢালীর কন্যা শুভ্রার বিয়ে হয় চার বছর আগে, বানেশ্বরদী গ্রামের মো. রিপন খন্দকারের সাথে। শুভ্রার তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মৃত্যুর সময়ও চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এই গৃহবধূ।
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বানেশ্বরদী গ্রামের চার মাসের অন্ত:সত্তা গৃহবধু কে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামী মো. রিপন খন্দকার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যুর মামলা নেয়া হয়েছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
নিহতের মা ও মামলার বাদীর অভিযোগ- বিভিন্ন সময়ে শুভ্রাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো।
শুভ্রার মা হাফেজা বেগম জানান, বিভিন্ন সময়ে শুভ্রাকে টাকা পয়সা নিতে পাঠাতো জামাই রিপন খন্দকার। অভাবের সংসারে অনেক সময় দাবি পূরণ করা সম্ভব হতোনা। গত ১৭ জুন শুভ্রা এসে ১৫ হাজার টাকা দাবি করলেও পরিবারের অস্বচ্ছলতার কারণে সে দাবি পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এতে মন খরাপ করে অজানা শঙ্কা মাথায় নিয়ে ১৮ জুন স্বামীর বাড়িতে যায় শুভ্রা। ওই দিনই সন্ধ্যায়ই খবর আসে শুভ্রা আত্মহত্যা করেছে।
নিহতের ভাই (মামলার বাদী) মো. ইউসুফ ঢালীসহ স্বজনদের দাবি, শুভ্রাকে তার স্বামী ও শশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। শুভ্রা আত্মহত্যা করার মত মেয়ে নয় দাবি করে তারা অভিযোগ করেন, পুলিশও এ ঘটনাকে গুরুত্ব দিচ্ছেনা। শুভ্রাকে তার স্বামীর পরিবারের সদস্যরা সবসময় মানসিক চাপে রাখতেন বলেও জানান তিনি।
নিহত শুভ্রার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘরও ছিল তালাবদ্ধ। তবে তাদের নিকটজনেরা দাবি করেন, হত্যা নয় আত্মহত্যার ঘটনাই ঘটেছে।
নগরকান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
রাইজিংবিডি/ ফরিদপুর/২৪ জুন ২০১৯/মো. মনিরুল ইসলাম টিটো/টিপু
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন