ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

হাসপাতালের নতুন ভবন হস্তান্তরে দেরি, রোগীর দুর্ভোগ

তানভীর হাসান তানু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:১০, ২০ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হাসপাতালের নতুন ভবন হস্তান্তরে দেরি, রোগীর দুর্ভোগ

ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা : ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালটি ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার দেড় বছর পরেও হস্তান্তর করেনি নতুন ভবনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে পুরনো ভবনে প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০ রোগীকে গাদাগাদি করে থাকতে ও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে রোগীদের।

২০১৮ সালের ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁওয় সফরে গিয়ে ১০০ শয্যার ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করে সাত তলা ভবন উদ্বোধন করেন। ভবনটির নির্মাণ কাজে ব্যয় ধরা হয় ২৬ কোটি সাড়ে ৬৯ লাখ টাকা।

এর আগে দরপত্র চুক্তি অনুয়ায়ী ২০১৬ সালের জুন মাসে কাজ শেষ করে ভবনটি হস্তান্তরের কথা থাকলেও এখনো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে নির্মাণ কাজ। প্রধানমন্ত্রী নতুন এই ভবনটি উদ্বোধনের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাজ শেষ করার তাগাদা দিয়ে কয়েক দফায় চিঠি দিলেও এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত বিভাগ।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজী এরফান এন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি আব্দুল মালেক জানান, নির্মাণ কাজের সময় পুরনো ভবন অপসারণে দেরি হওয়ায় নতুন ভবনের কাজ শেষ করতেও দেরি হচ্ছে। প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ। চলতি মাসেই নতুন ভবনটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আল মামুন হক জানান, নির্মাণ কাজ শেষ করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের উপর চাপ অব্যাহত আছে। কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য একাধিক চিঠিও দেয়া হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গড়িমসির কারণে ভবনটিতে কার্যক্রম এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। শিগগিরই ভবনটি গণপূর্ত বিভাগের কাছে হস্তান্তর করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তার পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
 


এদিকে, ঠাকুরগাঁও ছাড়াও পাশের জেলা পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও নীলফামারী থেকে প্রতিদিন রোগী আসে এ হাসপাতালে। এ কারণে পুরাতন ভবনের বহির্বিভাগে রোগীর চাপে হিমসিম খেতে হয় চিকিৎসকদের। বিছানা না পেয়ে রোগীদের করিডোর, বারান্দা, মেঝে ও সিড়ির ফাঁকে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। তাছাড়া ডাক্তার ও ওষুধ সংকটে রোগীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসক সঙ্কট থাকায় তারা হাসপাতালে উপযুক্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। হাসপাতালে সরবরাহ না থাকায় অধিকাংশ ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে রোগীদের।

১০০ শয্যা হাসপাতালটিতে চিকিৎসক ও জনবল সঙ্কটের বিষয়টি স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন ভবন হাসপাতালের কাছে হস্তাস্তর করা হলে দুর্ভোগ কমবে।

সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ২৫০ শয্যার নতুন ভবনটি চালু হলে সেখানে নতুন চিকিৎসক ও জনবল যোগদান করবে। এরপর রোগীদের দুর্ভোগ কমবে।


রাইজিংবিডি/ঠাকুরগাঁও/১৯ আগস্ট ২০১৯/তানু/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়