ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

রিফাত হত্যা : ঢাকায় তদন্ত কর্মকর্তা-পুলিশ সুপার

রুদ্র রুহান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১১, ২২ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রিফাত হত্যা : ঢাকায় তদন্ত কর্মকর্তা-পুলিশ সুপার

বরগুনা প্রতিনিধি : রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদনের বিপরীতে হাইকোর্টে জারি করা রুলের জবাব দিতে ঢাকায় এসেছেন তদন্ত কর্মকর্তা ও বরগুনার পুলিশ সুপার।

বৃহস্পতিবার এই হত্যা মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। বেলা ১১টার দিকে মামলার এজাহারভুক্ত ও জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ১৪ আসামিকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে ৩ সেপ্টেম্বর আদালত এ মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

গত ১৪ আগস্ট আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির পরবর্তী তারিখ (২২ আগস্ট) তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মুঠোফোনে জানান, হাইকোর্ট রুল জারি করায় অ্যাটর্নি জেনারেলকে মামলার নথিপত্র সরবরাহ করতে এখন তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। আগামী ২৮ আগস্ট হাইকোর্টে তা উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে মিন্নিকে গ্রেপ্তার পরবর্তী বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেনের সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গে উচ্চ আদালতের চাওয়া ব্যাখা দিতে তিনিও বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলেও হুমায়ুন কবির জানান।

 

 

উল্লেখ্য, রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ২৮ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে মামলার নথিপত্র নিয়ে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়। এ ছাড়া মিন্নির সংশ্লিষ্টতার বিষয় জানিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে পুলিশ সুপারকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০ আগস্ট এ আদেশ দেন।

গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। গুরুতর আহত রিফাতকে ওই দিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

১৬ জুলাই সকালে মিন্নিকে তার বাবার বাড়ি বরগুনা পৌর শহরের নয়াকাটা-মাইঠা এলাকা থেকে পুলিশ লাইনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯টায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন (১৭ জুলাই) মিন্নিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর বরগুনার আদালতে মিন্নির জামিন আবেদন জানালেও তার জামিন মেলেনি। নিম্ন আদালতে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন মিন্নির আইনজীবীরা।


রাইজিংবিডি/বরগুনা/২২ আগস্ট ২০১৯/রুদ্র রুহান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়