ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:১০, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বাড়ছে

দিন দিন বেড়েই চলেছে সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু জাতীয় মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা। বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানোর ফলে এই সড়কে প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। গত ১৫ দিনে দুই স্কুল ছাত্রসহ অন্তত ৬ জনের প্রানহানি ঘটেছে এই সড়কে।

কিন্তু দুর্ঘটনা রোধে নেয়া হচ্ছে না তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ।

জানা যায়, দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারী সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ। এ কোয়ারি থেকে উত্তোলনকৃত পাথর দিয়েই নির্মিত হয় বড় বড় স্থাপনা। এজন্য প্রতিদিন শত শত পাথরবোঝাই ট্রাক চলাচল করে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়কে।

এ সড়কটি ২০১৬ সালে জাতীয় মহাসড়ক হিসেবে উন্নীত করা হয়। পরবর্তীতে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় মহাসড়ক’ নামে এ মহাসড়কের নামকরণ করা হয়। প্রায় ৩২ কিলোমিটার এ সড়ক নির্মাণও প্রায় শেষের দিকে।

স্থানীয়রা বলছেন, মহাসড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হওয়াতে এ সড়কে যানবাহন চলছে বেপরোয়া গতিতে। একারণে ঘন ঘন সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। এজন্য তারা সড়ক পথের অব্যবস্থাপনা এবং অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি চলাচল এবং অসচেতনাকেই দায়ী করছেন।

তথ্যমতে, সর্বশেষ বুধবার সড়কের খাগাইল এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সা চাপায় মারা যান সাত বছর বয়সী কবির আহমদ। কবির ওই গ্রামের আবদুল আহাদের ছেলে। সে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ছিল।

এর আগে গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) একই স্থানে পাথরবোঝাই ট্রাক ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন আরও দু’জন। এছাড়া ৯ সেপ্টেম্বর ভোলাগঞ্জে ট্রাক চাপায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র আল-আমিন এবং ৬ সেপ্টেম্বর পাথর ব্যবসায়ী কুদরত উল্লাহ মারা যান।

দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে যাওয়ায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন, অবরোধ কর্মসূচিও পালন করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবি, এ সড়কে অধিকাংশ চালকই অদক্ষ এবং তাদের বেশিরভাগেরই যান চালনোর লাইসেন্সও নেই। আবার অনেক চালক হালকা যান চালানোর লাইসেন্স নিয়ে ভারী যান চালাচ্ছেন, যে কারণে দুর্ঘটনায় বেড়েছে। আর দুর্ঘটনা বাড়লেও প্রতিরোধের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা রোধে রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ স্পটগুলোতে গতিরোধক (স্পীড ব্রেকার) ও ডিভাইডার বসানোর দাবি তাদের।

কোম্পানীগঞ্জের বৃহৎ অরাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন কোম্পানীগঞ্জ ছাত্র পরিষদের সভাপতি রূপক চন্দ্র দাস রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘অদক্ষ চালকরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান। যে কারণে দুর্ঘটনা বেড়েছে। এসব চালকদের আইনের আওতায় এনে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আবুল হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা চাই নিরাপদ সড়কের জন্য কঠোর আইনের প্রয়োগ। এছাড়া প্রশিক্ষিত চালকেরা যানবাহন চালালে সড়কে দুর্ঘটনা কমে আসবে ।’

 

সিলেট/আব্দুল্লাহ আল নোমান/বুলাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়