বুলবুলের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার ৩ লাখ মানুষ
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে খুলনা জেলায় ৪৭ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ২৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৩ লাখ মানুষ।
অপরদিকে, সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগের ১৭টি স্টেশন অফিস ক্ষতিগ্রস্ত ও ৩৭টি ইউনিট আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের ভেতরে থাকা ৬৩টি ক্যাম্পের কর্মীরা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ শুরু করেছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গত চার দিন সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ থাকলেও মঙ্গলবার থেকে আবারো পর্যটকরা সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন বলে বন বিভাগ সূত্র জানিয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শনিবার মধ্যরাত ও রোববার সকালে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে খুলনার নয় উপজেলায় ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রায় ৪৭ হাজার ২৭৫টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৩৭হাজার ৮২০টি আংশিক ও ৯ হাজার ৪৫৫টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৫ হাজার হেক্টর আবাদি জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখনো আর্থিক ক্ষতি নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১ হাজার ৯০০ কার্টন শুকনো খাবার, ১৬০ মেট্রিক টন চাল ও ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
খুলনা জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা ও কন্ট্রোল রুমের প্রধান আজিজুল হক জোয়ার্দার জানিয়েছেন, এখনো আবাদি জমির ফসল ও মৎস্যসম্পদের ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা পর্যায়ে ক্ষতি নিরুপণের কাজ চলছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপ-পরিচালক পঙ্কজ কান্তি মজুমদার জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ে ২৫ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান, ৮৬৪ হাজার জমির শাক-সবজি, ৩৬ হেক্টর জমির পান ও ১৫০ হেক্টর জমির পেঁপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
খুলনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী জানিয়েছেন, এ ডিভিশনে ৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এবং ৪ কিলোমিটার নদীরক্ষা ও তীররক্ষা বাঁধের ক্ষতি হয়েছে।
খুলনা/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন