রিফাত হত্যা মামলা: ১০ মার্চ আসামিদের পরীক্ষা
রুদ্র রুহান || রাইজিংবিডি.কম
বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলায় প্রাপ্তবয়ষ্ক ১০ আসামির পক্ষে সাক্ষ্য জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে আগামী ১০ মার্চ আদালতে মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আট জন ও জামিনে থাকা আসামি মিন্নিসহ মোট নয়জনের পরীক্ষা হবে। ৩৪২ ধারায় এ পরীক্ষা দিবেন আসামিরা।
ইতিমধ্যে মামলায় আদালতে ৭৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। একজন প্রবাসে থাকায় তার সাক্ষ্য ছাড়াই সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামানের আদালতে রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আটজন ও জামিনে থাকা মিন্নিসহ মোট নয়জন আসামির উপস্থিতিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরকে জেরা করা হয়। রিফাত হত্যার ঘটনায় মোট ২৪ জনকে আসামি করে দুটি ভাগে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়ষ্ক ১০ জন ও বাকি ১৪ জন শিশু। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মুছা বণ্ড পলাতক ও মিন্নি জামিনে রয়েছেন।
পিপি ভূবন চন্দ্র জানান, মঙ্গলবার ১০ আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেরা করেছেন। এর মধ্য দিয়ে সব আসামির পক্ষেই জেরা শেষ হয়েছে। আর সাক্ষী ও জেরা হবে না।
তিনি জানান, ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে মামলায় সাক্ষীদের জবানবন্দী ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। আদালত পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আগামী ১০ মার্চ।
বাদীপক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু জানান, ৩৪২ ধারাটি হলো আসামির পরীক্ষা নেয়ার মতো। ওইদিন আসামিদের বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ উঠেছে সেগুলো তাদেরকে পড়ে শোনানো হবে। এরপর আসামিরা অভিযোগগুলো সম্পর্কে তাদের বক্তব্য থাকলে সেটা আদালতকে জানাবেন। তখন আসামিরা যদি মনে করে তাহলে সাফাই সাক্ষী হবে।
এদিকে জামিনে থাকা আসামি মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর সাংবাদিকদের জানান, রিফাত শরীফের রক্তমাখা জামা ও মিন্নির রক্তাক্ত জামাকাপড় তদন্ত কর্মকর্তা বাসা জব্দ করলেও, আদালতে জব্দ তালিকায় উপস্থাপন করেননি।
তিনি বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির আমার বাসা থেকে ওই জামাকাপড় উদ্ধারের সময় আমি তা ভিডিও করে রেখেছিলাম। কিন্ত অজ্ঞাত কারণে তা আদালতে উপস্থাপন হয়নি। আইনজীবীর মাধ্যমে বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়েছে।’
সাক্ষী ও জেরা সমাপ্তির পর আদালত চত্বরে মিন্নির পক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল বারি আসলাম বলেন, ‘আমি আশা করি মিন্নির ব্যাপারে ন্যায়বিচার করবেন আদালত। আশা করি ন্যায়বিচার পাব।’
আদালত চত্বরে নিহতের বাবা ও মামলার বাদি দুলাল শরীফ সাংবাদিকদের বলেন, সাক্ষী ও জেরা যেভাবে সমাপ্তি হয়েছে, আমি অপেক্ষায় আছি ন্যায়বিচার পাব।
বরগুনা/রুদ্র রুহান/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন