ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মধ্য আয়ের দেশ হতে তিন সূচকের দুটিতেই সাফল্য

আশরাফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২০, ১৬ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মধ্য আয়ের দেশ হতে তিন সূচকের দুটিতেই সাফল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : মধ্য আয়ের দেশে যেতে তিনটি সূচকের দুটিতে সাফল্য এসেছে। অন্যটি ২০২৪ সালের আগেই ভালো করা সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য এলডিজি গ্র্যাজুয়েশন চ্যালেঞ্জ’ সংলাপে এসব কথা বলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, তবে এজন্য ব্যবসায়িক পরিবেশ ও বেসরকারি বিনিয়োগের হার বাড়ানোসহ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক আরো বলেন, ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হবে বাংলাদেশ। এজন্য যেসব প্রয়োজনীয় লক্ষ্যগুলো প্রাথমিকভাবে অর্জন করতে হবে, তা ২০১৮ সালের মধ্যেই অর্জন হবে। নিয়ম অনুসারে মাথাপিছু আয়, মানব উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা- এ তিনটি সূচকের মধ্যে কমপক্ষে দুটিতে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে হয়। বাংলাদেশ তিনটিই সফলভাবে উৎরাতে পারবে।

ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি নিয়েই স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হবে বাংলাদেশ। যা দেশের জন্য গর্বের বিষয়। ২০২৪ সালে মধ্য আয়ের দেশে যাওয়ার আগেই সব সূচকে যে কোনো দেশের চেয়ে ভালো করবে।

বাংলাদেশ আরো ১০ বছর এলডিসি সুবিধা পাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এলডিসি তালিকা থেকে বের হয়ে আসার বিষয়ে অনুমোদন পেতে হবে। তারপরও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এলডিসি হিসেবে যেসব সুবিধা পাওয়া যায়, বাংলাদেশের জন্য তা ২০২৭ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

তবে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানিয়ে সিপিডি জানায়, ২০২৪ সালের পর এলডিসিভুক্ত দেশের জন্য যে বাজার সুবিধা তা আর থাকবে না। এজন্য ওই অবস্থায় কীভাবে সব কিছু মোকাবেলা করতে হবে তা বিবেচনায় আনতে হবে।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, মধ্য আয়ের দেশে যাওয়ার পর যেসব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা আসবে তা মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণে জোর দিতে হবে। পণ্য বৈচিত্র্যকরণে মনোযোগী হতে হবে, শিল্প ও কৃষিতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে।

সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পাঁচ দশক পর বাংলাদেশ কোনোভাবেই গরিব দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারে না। স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের বের হয়ে আসা হবে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে টেকসই, মসৃণ ও সফলতম ঘটনা।

সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, জেমকন গ্রুপের পরিচালক কাজী আনিস আহমেদ, এফবিসিসিআইর সহসভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বক্তব্য রাখেন।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং বাংলাদেশ নিয়োজিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ মার্চ ২০১৭/আশরাফ/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়