ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

পটুয়াখালীর সার্কেল এএসপির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৩, ১৯ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পটুয়াখালীর সার্কেল এএসপির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক আসামিকে থানা হেফাজতে নির্যাতন করার প্রমাণ পাওয়ায় পটুয়াখালীর সার্কেল এএসপি সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার এ বিষয়ে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর  বেঞ্চ  এ নির্দেশ দেন।

এর আগে আদালতের নির্দেশে আসামি নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি হাইকোর্টে  প্রতিবেদন দাখিল করে।

কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত, ভিকটিমের চিকিৎসার সনদপত্র, সাক্ষীদের জবানবন্দি ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, বাউফল থানার মামলার আসামি কে এম হাফিজুর রহমান ওরফে বিজয়কে গত ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে আটক রাখা হয়। ওই রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফেরদৌস আলম বাইরে থাকায় আসামি বিজয়কে ওসির রুমে আনতে কনস্টেবল গোলাম সরোয়ারকে নির্দেশ দেন এএসপি সাইফুল ইসলাম। আসামিকে ওসির রুমে আনা হলে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে টেবিলের পাশে দাঁড় করিয়ে আড়াই হাত গোলাকার লম্বা লাঠি দিয়ে তার কোমড়ের পেছনের অংশে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেন ওই এএসপি। নির্যাতনের সময় আসামি বিজয় চিৎকার করতে থাকেন। সংবাদ পেয়ে আসামির আত্মীয়-স্বজনরা তাৎক্ষণিকভাবে থানায় এসে নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পারেন এবং জখম দেখতে পান। পরে তারা নির্যাতনের বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাসহ অন্যদের জানান।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সাক্ষী মো. মজিবর রহমান ও শামসুল কবির নিশাত থানায় এসে ভিকটিমকে মারপিট করা অবস্থায় দেখতে পান। বিষয়টি জানাজানি হলে এএসপি তখনই থানা ত্যাগ করেন। পরে ভিকটিম আদালত থেকে জামিন নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ভিকটিমের চিকিৎসা সনদেও শারীরিক আঘাতের বিষয়টি লেখা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত এসপি মো. আবুল হোসেন মোড়ল ও বরিশাল জোনের পুলিশ পরিদর্শক মো. হেলালউদ্দীন গত ১০ মার্চ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত ঘটনার অনুসন্ধান করে এই প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। তবে অনুসন্ধানে বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকী, এসআই ফেরদৌস আলম ও ওসি (তদন্ত) লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি তদন্ত কমিটি।

হাইকোর্টে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট তাপস কুমার বিশ্বাস।   

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘বাউফলে ওসির রুমে নির্যাতন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টে রিট করেন বিজয়ের মা জোসনা বেগম। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি তদন্ত চলাকালে এএসপি সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন আদালত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ মার্চ ২০১৭/মেহেদী/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়