ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

লঙ্কায় তামিমের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ২৫ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
লঙ্কায় তামিমের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি

শ্রীলঙ্কার মাটিতে তামিম ইকবালের আরেকটি সেঞ্চুরি। (ছবি: শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট টুইটার)

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ডাম্বুলা থেকে : শ্রীলঙ্কার চায়নাম্যান বোলার লাকশান সান্দাকানের হাফভলি বল পুল করে মিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন তামিম ইকবাল। ৯৪ থেকে তামিম পৌঁছে গেলেন ৯৮ রানে। পরের বলে অফ ড্রাইভ করে আরো এক রান।

পরের ওভারে পেসার লাহিরু কুমারার বল ফ্লিক করে ফাইন লেগে বল পাঠিয়ে আরো এক রান তামিমের নামের পাশে। তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছালেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

মাথা থেকে হেলমেট খুলে ড্রেসিং রুমে অভিবাদনের জবাব দেন তামিম। ব্যাট তুলে দর্শকদের অভিবাদন দিতেও ভুল করেননি দেশসেরা ওপেনার। ১৮৪ মিনিট ক্রিজে থেকে ১২৭ বলে ১২ বাউন্ডারিতে তিন অঙ্কের মাইলফলকে পৌঁছান তামিম।

এটি তামিমের অষ্টম ওয়ানডে সেঞ্চুরি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয়। সাত সেঞ্চুরি নিয়ে আগের থেকেই চূড়ায় ছিলেন তামিম। লঙ্কার মাটিতে সাফল্যের মুকুটে যোগ হলো আরেকটি পালক।

শ্রীলঙ্কার মাটিতে এর আগে ২০১৩ সালের ২৩ মার্চ হাম্বানটোটায় স্বাগতিক দলের বিপক্ষে তামিম খেলেছিলেন ১১২ রানের ইনিংস। তামিমের এ দুই ইনিংস বাদে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রান ৯৭। পাকিস্তানের বিপক্ষে ডাম্বুলার এ মাঠেই ৯৭ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন জুনায়েদ সিদ্দীক।

ইনিংসের শুরু থেকেই তামিম ছিলেন রক্ষণাত্মক। বাজে বল না পেলে মারেননি। বলের মেরিট অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছেন। তাতে তিনি সফল। সেঞ্চুরির ইনিংসে বোলারদের দেননি কোনো সুযোগ। আগের মতো ডাউন দ্য উইকেটে এসেও কোনো বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করেননি।

তামিম ৭৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন আসেলা গুনারত্নের বলে এক রান নিয়ে। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন তামিম। ৩১তম ওভারে স্পিনার গুনাথিলাকার চার বলে মারেন তিনটি বাউন্ডারি। তিনটি বাউন্ডারি ছিল ইনসাইড আউট শটে। ৭৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেলেও পরের ৫০ রান করেন ৫১ বলে।

নিজের ইনিংসটি সাজানোর পথে দ্বিতীয় উইকেটে সাব্বির রহমানের সঙ্গে ৯০ রানের জুটি গড়েন তামিম। এরপর পঞ্চম উইকেটে সাকিবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো করেন শততম রানের জুটি। সাকিব ৭২ রানে আউট হওয়ার সময় জুটিতে এসেছিল ১৪৪ রান।

কুমারার বলে তামিম আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ১২৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ১৪২ বলের ইনিংসে চার ১৫টি, ছক্কা একটি। এ মাঠে ওয়ানডেতে এটিই এখন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস। তামিম ছাড়িয়ে গেছেন ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির করা ১২৪ রান।

১৯৯৯ সালে আজকের এই দিনেই বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে পেয়েছিল প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ। ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মেহরাব হোসেন করেছিলেন ১০১ রান। ১৮ বছর পর প্রথম সেঞ্চুরির দিনটিকে দারুণভাবে রাঙিয়ে তুললেন তামিম। এই ইনিংসের মধ্য দিয়ে তামিম প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দশ হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন।



রাইজিংবিডি/ডাম্বুলা (শ্রীলঙ্কা)/২৫ মার্চ ২০১৭/ইয়াসিন/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়