ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

বসুন্ধরায় হচ্ছে ম্যারিয়ট হোটেল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১৮ নভেম্বর ২০১২   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বসুন্ধরায় হচ্ছে ম্যারিয়ট হোটেল

ঢাকা: দেশের হোটেল শিল্পে আভিজাত্যের নতুন ছোঁয়া নিয়ে ঢাকায় আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ হোটেল চেইন ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল।

রাজধানীর অভিজাত এলাকা বসুন্ধরায় খুব শিগগিরই বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা সংবলিত পাঁচ তারকা ম্যারিয়ট হোটেলের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ৩০০ কামরা বিশিষ্ট পাঁচ তারকা ম্যারিয়ট হোটেল পৃথিবীর অন্যসব আন্তর্জাতিক হোটেলের সুযোগ-সুবিধাসহ নির্মিত হবে, যা এ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপস্থিত। শিগগিরই এই শৈল্পিক নির্মানকাজ শুরু হতে যাচ্ছে। ম্যারিয়টের গঠনশৈলী বিশ্বের স্থাপত্য ভুবনে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ম্যারিয়টের দূরত্ব হবে মাত্র ১০ মিনিটের। এছাড়া এর অবস্থান ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ার কাছাকাছি হওয়ায় বিদেশি বরেণ্য অতিথিদের জন্য বেশ সুবিধা হবে বলে মনে করছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিদর্শনের পর ম্যারিয়ট কর্তৃপক্ষ ৩০০ ফুট চওড়া সড়কের পাশে বসুন্ধরার নির্মল পরিবেশে হোটেলটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়।

জানা যায়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নির্মলতার কারণেই কর্তৃপক্ষ হোটেলের স্থান হিসেবে বসুন্ধরাকে বেছে নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বব্যাপী হোটেল ব্যবসায় সুপরিচিত ব্র্যান্ড। এর প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত মার্কিন ব্যবসায়ী জে উইলার্ড ম্যারিয়ট। তার সন্তান জে ডব্লিউ ম্যারিয়ট জুনিয়র বর্তমানে এই হোটেল চেইন পরিচালনা করেন।

গ্রীষ্মের ভ্যাপসা গরমে মানুষকে একটু ঠাণ্ডা পানীয় পানের উপযুক্ত জায়গা করে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯২৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ম্যারিয়টের যাত্রা শুরু হয়েছিল। শুরুর দিকে এটি ছিল নিছক রুট বিয়ার পানের ঘর। সেই ম্যারিয়ট আজ অনেক বড় পরিসরে, অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে।

বিশ্বজুড়ে ৭৩টিরও বেশি দেশে প্রতিষ্ঠানটির তিন হাজার ৭০০ শাখা রয়েছে। ম্যারিয়ট হোটেলের ২০১০ সালের মোট রাজস্ব আয় ১১৭০ কোটি মার্কিন ডলার। এই হোটেল চেইনের অধীনে দেড় লাখ কর্মী রয়েছেন।

মূলত অত্যাধুনিক সেবার মান ও নীতির কারণেই ম্যারিয়ট হোটেল বিভিন্ন দেশে মানুষের নজর কেড়েছে।

২০১০ সালের ১১ নভেম্বর ম্যারিয়ট কর্তৃপক্ষ তাদের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরো ৬০০টি হোটেল নির্মাণের ঘোষণা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ, ভারত, চীন, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়ায় তাদের হোটেল নির্মিত হচ্ছে।

ম্যারিয়টের আগমনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের হোটেল ব্যবসায় নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়