ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

বিশ্ব মন্দা সত্ত্বেও এগুচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি

অর্থনীতি ডেস্ক: || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৮, ২৪ ডিসেম্বর ২০১২   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিশ্ব মন্দা সত্ত্বেও এগুচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি

ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর (রাইজিংবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম): বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গত চার অর্থবছরে অগ্রতির যে তুলনামূলক চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ২০০০ থেকে ২০১২ অথবছরে জিডিপি গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.২১ শতাংশ, যা আগের চার অর্থবছরের (২০০২-০৫) গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধির তুলনায় ০.৭৪ শতাংশ বেশি।

২০০৯ থেকে ২০১২ অর্থবছরে তারে আগের চার অর্থবছরের তুলনায়  সাড়ে তিনগুণের বেশি (৩.৫৩ গুণ) রেমিট্যান্স এসেছে বলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৪-০৫ অর্থবছর শেষে যেখানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২.৯৩ বিলিয়ন ডলার, গত ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১২.৭০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ রিজার্ভ চারগুণের বেশি (৪.৩৩ গুণ) বেড়েছে। বর্তমান রিজার্ভ চার মাসের আমদানি দায় মেটানোর জন্যে যথেষ্ট বলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
 
এছাড়া গত চার অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয় বেড়েছে ২.৭৯ গুণ। যদিও আমদানি ব্যয়ও বেড়েছে ২.৭৩ গুণ।

গত চার বছরে দেশের ব্যাংকিং খাতের মূলধন ভিত্তি বেড়েছে ৩৫,৬২৩ কোটি টাকা বা ১৭৩ শতাংশ। ২০০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকিং খাতে শ্রেণীকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১৩.৬০ শতাংশ, তা কমে এ বছরের জুনে দাঁড়িয়েছে ৭.১৭ শতাংশ। তবে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তা সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৭৫ শতাংশ।

মোট অঙ্কে আগের চার বছরের চেয়ে পরের চার বছরে অর্থাৎ ২০০৯ থেকে ২০১২ অর্থবছরে তিনগুণ বেশি কৃষি ঋণ বিতরণ করা  হয়েছে। ২০১২ সালে ১৪ হাজার ১৩০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে গত নভেম্বর মাস পর্যন্ত কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৩২ শতাংশ। ২০০৯ সালে চালু হওয়া এ স্কীমের আওতায় প্রথমবারের মতো কৃষি ঋণ পাওয়ায় বর্গাচাষিরা প্রকৃতই উপকৃত হচ্ছেন এবং তাদের জীবন মানের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

কৃষক ও হতদরিদ্রদেরকে ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব হিসাব খোলার মাধ্যমে দেশে বড় ধরনের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। অর্থাৎ বিপুল সংখ্যক মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।

২০০৯-১০ অর্থবছরে চালু হওয়া এ স্কীমের আওতায় গত অক্টোবর পর্যন্ত ২৪টি ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৮৩.৮৪ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হয়েছে, যার মধ্যে ৪৩ শতাংশ সৌরশক্তি ও ৩১ শতাংশ বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট খাতে অর্থায়ন করা হয়েছে।

কর্মসংসস্থান সৃষ্টি ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এসএমই খাতে অর্থায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে ৫৩ হাজার ৫৪৪ কোটি ও ২০১১ সালে ৫৩ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা এই খাতে ঋণ বিতরণ করা হয়। এসএমই খাতের পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের ১৫ শতাংশ অর্থ কেবলমাত্র নারী উদ্যোক্তাদের জন্যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলেও বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে।


সিএসআর বা ব্যবসায়ীদের সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমকে মূল ব্যাংকিং কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সিএসআর কার্যক্রমে ২০০৮ সালে যেখানে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৪১ কোটি টাকা সেখানে ২০১১ সালে ব্যয় হয়েছে ২২২ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত চার বছরের ব্যবধানে এ খাতে ব্যয় বেড়েছে পাঁচগুণের বেশি।

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়