জিততে রেকর্ড গড়তে হবে ভারতকে
দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছেন ফখর জামান
ক্রীড়া ডেস্ক : ওভালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ফখর জামানের সেঞ্চুরি ও মোহাম্মদ হাফিজের ঝোড়ো ফিফটিতে ভারতকে ৩৩৯ রানের বড় লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছে পাকিস্তান।
শিরোপা ধরে রাখতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ওভালে রান তাড়ার নতুন রেকর্ড গড়তে হবে। ওভালে সর্বোচ্চ ৩২২ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে শ্রীলঙ্কার, এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এই ভারতের বিপক্ষেই। যেটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসেও সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড।
গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে নাকানি চুবানি খেয়েছিল পাকিস্তান। সরফরাজ আহমেদের দল ২৮৯ রান তাড়া করতে নেমে অলআউট হয়েছিল মাত্র ১৬৪ রানে। আজ ফাইনালে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
বোলিংয়ে ভারতের শুরুটা হতে পারত দারুণ। চতুর্থ ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহর বল ফখর জামানের ব্যাটে চুমু খেয়ে জমা পড়েছিল উইকেটকিপার মহেন্দ্র সিং ধোনির গ্লাভসে। কিন্তু সেটি ছিল ‘নো’ বল!
৩ রানে জীবন পাওয়া ফখর ও আজহার আলীর ব্যাটে দারুণ সূচনা পায় পাকিস্তান। দুজন গড়েন শতরানের উদ্বোধনী জুটি। ফখরের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে আজহার (৫৯) রানআউট হয়ে গেলে ভাঙে ১২৮ রানের বড় জুটি। ভারতের বিপক্ষে আইসিসি টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের শতরানের উদ্বোধনী জুটি এটিই প্রথম।
আজহার ফিফটি করে ফিরলেও ফখর তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই ওয়ানডে অভিষেক হওয়া বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফিফটি করেছিলেন ৬০ বলে। পরের পঞ্চাশ করেছেন মাত্র ৩২ বলে! ৯৬ থেকে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে চার হাঁকিয়ে ৯২ বলে ছুঁয়ে ফেলেন তিন অঙ্ক।
সাঈদ আনোয়ার ও শোয়েব মালিকের পর তৃতীয় পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেঞ্চুরি করলেন ফখর। এটি তার প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি।
হার্দিক পান্ডিয়ার বল উড়িতে মারতে গিয়ে রবীন্দ্র জাদেজার ক্যাচ হওয়ার আগে ১১৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ২৭ বছর বয়সি ব্যাটসম্যান। তার ১০৬ বলের ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও ৩টি বিশাল ছক্কার মার। ফখরের বিদায়ের সময় পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৩৩.১ ওভারে ২ উইকেটে ঠিক ২০০ রান।
তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে দলকে ২৪৭ পর্যন্ত টেনে নিয়েছেন বাবর আজম ও শোয়েব মালিক। ২০ রানের মধ্যে অবশ্য দুজনই ফিরেছেন সাজঘরে। ভুবনেশ্বর কুমারের বলে কেদার যাদবকে ক্যাচ দেওয়ার আগে মালিক করেছেন ১২। বাবর ৪৬ করে যাদবের বলে ক্যাচ দিয়েছেন যুবরাজ সিংকে।
২৬৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পাকিস্তানকে সাড়ে তিনশ’র কাছাকাছি পুঁজি এনে দেওয়ার বড় কৃতিত্ব হাফিজের। পঞ্চম উইকেটে ইমাম ওয়াসিমের সঙ্গে ৪৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ৭১ রানের জুটি গড়ার পথে হাফিজ ফিফটি করেন ৩৪ বলে। ৩৭ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন হাফিজ। ২১ বলে অপরাজিত ২৫ রান করেন ইমাদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩৩৮/৪ (ফখর ১১৪, আজহার ৫৯, হাফিজ ৫৭*; যাদব ১/২৭, ভুবনেশ্বর ১/৪৪, পান্ডিয়া ১/৫৩)।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জুন ২০১৭/পরাগ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন