ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

করপোরেট ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়ন ওয়ালটন গ্রুপ

ইয়াসিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২২, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
করপোরেট ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়ন ওয়ালটন গ্রুপ

ইয়াসিন হাসান : একক আধিপত্য দেখিয়ে টি-টোয়েন্টি করপোরেট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতল ওয়ালটন গ্রুপ।

 

‘সিম্ফনি’ ব্র্যান্ডের দল এডিসন গ্রুপকে ৬৭ রানে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল ওয়ালটন গ্রুপ। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ওয়ালটন গ্রুপের শোকেসে উঠল করপোরেট ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা।

 

এডিসন গ্রুপকে ৬৭ রানে হারানোর সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে মেতে উঠে ওয়ালটন শিবির। দলের কর্মকর্তা থেকে সমর্থকদের চোখেমুখে ছিল প্রাপ্তির আনন্দ। বড় কিছু পাওয়ার তৃপ্তি। বিজয়ের আনন্দ আর প্রাপ্তির ধারাবাহিক উচ্ছ্বাস ছিল সবার চোখেমুখে।

 

 

পুরো টুর্নামেন্টের মতো আজও ওয়ালটন গ্রুপের খেলোয়াড়রা ছিল অপ্রতিরোধ্য। প্রথমে ব্যাট হাতে ৮ উইকেটে ওয়ালটন গ্রুপের সংগ্রহ ছিল ১৪১। জবাবে এডিসন গ্রুপের ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ৭৪ রানে।

 

অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিমন্ত্রী  এম.এ. মান্নানের কাছ থেকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি গ্রহণ করেন ওয়ালটন গ্রুপের অধিনায়ক উদয় হাকিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি, আল হারামাইন পারফিউমস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান ও ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (পলিসি, এইচআরএম এন্ড এডমিন) এসএম জাহিদ হাসান।

 

 

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়লেও সাজ্জাদুল হোসেন শাকিলের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে লড়াকু পুঁজি পায় ওয়ালটন। ইনিংসের প্রথম বলে রানের খাতা খোলার আগে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন ওয়ালটনের বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান সাহেল মিয়া। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ ব্যাটিং করলেও ফাইনালের মহারণে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ডানহাতি ব্যাটসম্যান সাহেল । দুইয়ে নামা শাকিল আস্থার প্রতিদান দেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। সাহেলের পর শাহরিয়ার পারভেজ (৬), বাবু (১) ও আব্দুল্লাহ আল মামুন (১৪) দ্রুত ফিরে আসেন। তবে এক পাশ আগলে এডিসনের বোলারদের কড়া শাসন করেন শাকিল।

 

পঞ্চম উইকেটে তাকে সঙ্গ দেন ওমর ফারুক আলভী। দুজনের দায়িত্বশীল ও অসাধারণ বীরত্বে ওয়ালটন শুরুর ধাক্কা সামলে পরবর্তীতে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে। পঞ্চম উইকেট তাদের হাত ধরে ওয়ালটনের স্কোরবোর্ডে ৬৩ রান যোগ হয়। এ সময় ৪৪ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন শাকিল। হাফসেঞ্চুরির পর স্কোরবোর্ডে আরও ১০ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরেন দ্যূতি ছড়ানো শাকিল। ৫২ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংসটি সাজান তিনি।

 

 

এছাড়া আলভী ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩১ রান। শেষ দিকে রাকিবের ৫ বলে ৯ ও নুরুলের ৩ বলে ৬ রানের ইনিংসে ১৪১ রানের পুঁজি পায় শিরোপা প্রত্যাশী ওয়ালটন।

 

বোলিংয়েও ওয়ালটন ছিল দূর্দান্ত। ওয়ালটন গ্রুপের বোলিং লাইন এডিসনের ব্যাটসম্যানদের জন্য রীতিমত দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এডিসনের ওভারপ্রতি লক্ষ্য এক সময়ে ১৩ রানের উপরে উঠে যায়। পাহাড় সমান এ লক্ষ্যের পথে এডিসনের পরবর্তী ব্যাটসম্যারা পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন মাত্র। ‘লজ্জাজনক’ পরাজয়ে রানার্স-আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় এডিসন গ্রুপকে। অন্যদিকে বিজয় উল্লাস ও শেষ হাসি হেসে মাঠ ছাড়ে উদয় হাকিম এন্ড কোং। 

 

ওয়ালটন গ্রুপের অধিনায়ক উদয় হাকিম স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের প্রতি এ শিরোপা উৎসর্গ করেছেন। এছাড়া সহ-অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে এ জয় উপহার দিয়েছেন অধিনায়ক। 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ ডিসেম্বর ২০১৬/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়