ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

দার্জিলিংয়ের পথে-১১

কালিম্পং : জীবন খুঁজে পাবি ছুঁটে ছুঁটে আয়

উদয় হাকিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০১, ২ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কালিম্পং : জীবন খুঁজে পাবি ছুঁটে ছুঁটে আয়

কালিম্পং শহরের অপরূপ সৌন্দর্য

উদয় হাকিম : কালিম্পং পৌঁছে গেছি। এতো সুন্দর জায়গা! বর্ণনা করার ভাষা নেই। নামটার মধ্যেই কেমন যেন অন্য রকম ভালো লাগার নির্যাস। শান্ত সৌম্য কিন্তু সজাগ। হাওয়া বদল কিম্বা নিভৃতবাসের উত্তম জায়গা। পরিবেশ আর জীবন কীভাবে একাকার হয়ে গেছে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ কালিম্পং।

গাইড পার্থ বলেছিলেন, মিনিট দশেকের মধ্যেই হোটেলে পৌঁছে যাব। পাইন ভিউ নার্সারি থেকে জিপে উঠলাম। দুই পাশে পাহাড়। মাঝ দিয়ে সরু রাস্তা। হাইওয়ে থেকে এটিই চলে গেছে কালিম্পং শহরে। ‘ওই দেখেন দেখেন’ জাহিদ হাসান হঠাৎ বলে উঠলেন। কি দেখব? ওই যে লম্বা সাদা ফুল ফুটে আছে রাস্তার ধারে। সত্যিই তো। ফুলটা ব্যতিক্রমী। মিলটন গাড়ির ভেতর থেকেই ছবি নিলেন। ঠিক ভুভুজেলা বাঁশির মতো দেখতে। বনফুল। নাম জানিনা আমরা কেউই।

কালিম্পং এর চারপাশেই বিশাল বিশাল একেকটা পাহাড়। আকাশে হেলান দিয়ে আছে। অফুরন্ত সবুজ। তারই মাঝে বাড়িঘর। এখানে প্রাণ আছে, এখানে শান্তি আছে। এখানে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয়া যায়। এখানে জীবনকে উপলব্ধি করা যায়। এখানে জীবনের স্বার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায়। ভূপেন হাজারিকা হয়তো এমন উপলব্ধি থেকেই গেয়েছিলেন- আজ জীবন খুঁজে পাবি ছুঁটে ছুঁটে আয়। জীবন খুঁজতেই গিয়েছিলাম। মন জানে, সত্যিই খুঁজে পেয়েছিলাম- জীবনের মানে। ভ্রমণ পিপাসুদের এমন জায়গাই পছন্দ। কোলাহল নেই। আবার জনমানবহীনও নয়।

কালিম্পং যাওয়ার রাস্তার পাশে ফুটে আছে সাদা বনফুল


মিনিট দশেকের মধ্যেই পৌঁছে গিয়েছিলাম হোটেল গার্ডেন রিচ-এ। একেবারে রাস্তা ঘেঁষে। ঠিকানা লেখা আছে মূল গেইটে- আপার কাট রোড, কালিম্পং, ওয়েস্ট বেঙ্গল। সরু প্রবেশ পথ। মূল শহরে ঢোকার খানিকটা আগে এটি। ভালো, শহুরে আবহ থেকে দূরে থাকাই ভালো। তখনো রুম গোছানো হয়নি। গোঁফওয়ালা এক ভদ্রলোক বসে ছিলেন রিসিপশনে। সম্ভবত ম্যানেজার। বনেদি বাংলায় কথা বলছেন। দাদা ব্যাগগুলো নামিয়ে রাখুন। কোনো টেনশন নেবেন না। এসেছেন যখন থাকার ব্যবস্থা হবেই। ভাবটা এরকম যেন আমরা না জানিয়ে কিংবা আগে বুকিং না দিয়েই এসেছি! অথচ ১৫ দিন আগে হোটেল বুকিং দেয়া। মিনিট দশেক পর বললেন, আপনারা খানিকটা ঘুরে আসুন। এর মধ্যে সব রেডি হয়ে যাবে।

কৌতুহল বশত রিসিপশনের পেছন দিকটায় চলে গেলাম। নিচের দিকে কাঠের সিঁড়ি। নেমে গেলাম একতলা। নামার পথে দেখলাম একটি ব্রোঞ্জের মূর্তি। সম্ভবত বিষ্ণু মূর্তি। এটি দেখে হোটেল সম্পর্কে আমার একটি উচ্চ ধারণা হলো। যাক, দার্জিলিংয়ের হোটেলটা তেমন ভালো ছিলো না। এবার ভালো জায়গায় এসেছি। এখানে কিছু কক্ষ আছে গেস্টদের জন্য। মনে পড়লো পুনাখার কথা। এই টিম নিয়ে ভুটানের সাবেক রাজধানী পুনাখা শহরে গিয়েছিলাম গত বছর। সেখানে ব্রহ্মপূত্র নদের তীরে একটি হোটেলে ছিলাম। সাধারণত যত বড় হোটেল তত উঁচুতে উঠতে হয় লিফটে করে। কিন্তু ওখানে ছিলো ব্যতিক্রম, কত নিচে নামা যায় যেন তার প্রতিযোগিতা। রাস্তার লেভেলে ছিলো হোটেলের রিসিপশন। সেখান থেকে পাঁচ তলা নিচে নেমে গিয়েছিলাম ৮০২ নম্বর কক্ষে। এটি ছিলো রিভার ভিউ রুম। আসলে নদী তীরের কাছাকাছি থেকে উপরের দিকে ভবন তৈরি হয়েছিলো। উল্টো পাশেই ছিলো পাহাড়। একই অবস্থা এখানেও। রাস্তার লেভেল থেকে হোটেল নেমে গেছে নিচের দিকে।

নেমে গেলাম আরেক তলা। বড় একটি স্পেস- এটি ডাইনিং হল। পেছন দিক দিয়ে বেশ আলো আসছে। বেরিয়ে গেলাম সেদিকে। ওদিকটায় চিকন লম্বা কলার মতো একটা খোলা জায়গা। রেলিং দেয়া ছাদ। নিচে হয়তো কোনো কক্ষ আছে। হতে পারে মদ খাওয়ার জায়গা। এই কলার মতো ছাঁদে কিছু টেবিল চেয়ার পাতা। রেলিংয়ে লতাগুল্ম। আমার সঙ্গে চলে এলেন জাহিদ হাসান, ফিরোজ আলম, কোচ জাহিদ আলমসহ আরো কয়েকজন। ঠিক তখনই একপ্রস্ত রোদ এসে ওম দিলো শরীরে। দুদিনের টানা বৃষ্টি থেকে এই প্রথম রোদের দেখা মিললো।

দূরে তখন পাহাড়ের মাথায় রোদ গিয়ে পড়েছিলো। কালো মেঘগুলো সাদা হয়ে উঠলো। চক চক করছিলো কাছের ঘরবাড়িগুলো। পাহাড়ের মাথা বেয়ে মেঘ ভেসে যাচ্ছিলো। মনে পড়লো অখিল বন্ধু ঘোষের গান- বরষার মেঘ ভেসে যায় অলকার তটে. . .। হাতের মোবাইল ব্যস্ত হয়ে উঠলো সে সৌন্দর্য ধরে রাখতে।

হোটেল গার্ডেন রিচ-এ ব্রোঞ্জের মূর্তি


মিনিট দশের পরে উপরে চলে গেলাম। রিসিপশনের লোকটি নেই। তখনো রুম গোছানো হয়নি। জানানো হলো লাঞ্চ রেডি। তাহলে আগে লাঞ্চ করি। সময় নষ্ট না করে। কারণ এমন রোদে বসে না থেকে কোনো স্পটে গিয়ে ছবি তোলাই সেরা বিনিয়োগ।

ডাইনিং হলের পেছন দিকটা খোলা গ্লাসের। পর্যাপ্ত আলো ছিলো। বসলাম গিয়ে সেখানেই। লাঞ্চ ছিলো বুফে, কয়েকজন ভালো খাদক আছে টিমে, বুঝিয়ে দিচ্ছিলো কোপে। রান্নাটা ভালো। স্বস্তিকা হোটেলের পর এই প্রথম খাবার ভালো লাগলো এবারের ইন্ডিয়া ভ্রমণে। এখানে সব ওয়াক্তের সঙ্গে পাপর দেয় এরা। খেতে অনেকটা তিতকুটে হলেও মজাই লাগছিলো। ছিলো আচারের ব্যবস্থা। ডেজার্ট হিসেবে পায়েস।

লাঞ্চ শেষে করে গেলাম রিসিপশনে। পাশের ভবনে দ্বিতীয় তলায় সিট বরাদ্দ হলো। রুমে গিয়ে পেছনের জানালা খুলে দিলাম। অনেক পুরনো ভবন মনে হলো। জানালা খোলা হয় না অনেক দিন। হু হু করে কিছু বাতাস ঘরে এলো। দূরে তাকিয়ে দেখি পাহাড়ের মেঘমাখা চূড়াগুলো জ্বল জ্বল করছিলো। ছবি নিলাম মোবাইল ফোনে। নিচের দিকে এই ঢালু কতদূর গেছে ঠাহর পাচ্ছিলাম না। নিচে হয়তো কোনো ছড়া হবে।

সিঁড়ির কাছে ব্রোঞ্জের মূর্তি দেখে ভেবেছিলাম হোটেলটি ভালো হবে। কিন্তু রুমে দেখি উল্টো ঘটনা। ওয়াশরুমে টাওয়েল নেই, সাবান নেই, শ্যাম্পু নেই, ব্রাশ নেই। চেষ্টা করলাম গরম পানি আসে কি না, কাজ হলো না। হয়তো গিজার অকেজো। ওয়াশরুমের প্যানে হ্যান্ডওয়াশ নেই। কবে ভেঙে পড়ে গেছে কেউ খোঁজ রাখেনি। টিস্যু নেই। স্যান্ডেল নেই। পাওয়ার কানেকশন নেয়ার মাল্টিপ্লাগ নেই। বেড কাভারগুলো নোংরা। টেলিভিশন চলে না। পুরনো এসি চলছিলো কিন্তু শব্দ হচ্ছিলো বিরক্তিকর। রিসিপশনে অভিযোগ জানিয়ে দ্রুত বের হয়ে গেলাম।

হোটেল গার্ডেন রিচ-এর ডাইনিংয়ের পেছনে এক চিলতে খোলা জায়গা


কালিম্পং শহর হয়ে যাচ্ছিলাম। বেশ পুরনো পাহাড়ি শহর। আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। রাস্তার দুপাশে অসংখ্য ছোট ছোট দোকান-পাট। স্থানীয়দের সঙ্গে নেপালিদের চেহারার মিল। পুরুষ মহিলা সবারই পায়ের গোছা মোটা। শরীর বেঁটে। পাহাড় বাইতে বাইতে এরকম হয়েছে।

আসলে কালিম্পং অবকাশ যাপনের জন্য সেরা জায়গা। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষজন এখানে আসতেন বেড়াতে, হাওয়া বদল করতে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও সবশেষ এখানেই বেড়াতে এসেছিলেন। ১৯৪০ সালের কথা। কবির শরীর তখন খুব একটা ভালো যাচ্ছিলো না। ডাক্তারের পরামর্শে হাওয়া বদলের জন্য তাকে আনা হয়েছিলো কালিম্পং-এ। এখানে কিছুদিন কাটানোর পর তার শরীর আরো খারাপ হয়ে গেলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে পাহাড় থেকে সমতলে নামিয়ে নেয়া হয়েছিলো। এ্যাম্বুলেন্সে ফিরেছিলেন কোলকাতায়।

কালিম্পং এর গড় উচ্চতা ১২০০ মিটার। এক সময় এই শহরের মধ্য দিয়েই তিব্বতে বাণিজ্য হতো। সম্ভবত যখন সিকিম স্বাধীন ছিলো। ইতিহাস বলে, কালিম্পংয়ে নাকি এক সময় ভুটানের রাজ্যপালের কেন্দ্রীয় দপ্তর ছিলো। কালিম শব্দের অর্থ হচ্ছে রাজার মন্ত্রী। আর পং শব্দের অর্থ হচ্ছে ক্ষমতার কেন্দ্র। তার মানে এটি কি তখন ভুটানের অংশ ছিলো? এখান থেকে ভুটান খুব কাছে।

ছোটবেলায় আমরা অনেক ভুতের গল্প শুনেছিলাম। এখনো অনেক রহস্য গল্প নিয়ে নাটক সিনেমা হচ্ছে। গহীন বন, ঘন অরণ্য- এসব শব্দগুলো বলা চলে কালিম্পং এর জন্যই প্রযোজ্য। ফুল এবং অর্কিড চাষের জন্য জায়গাটি বিখ্যাত। ক্যাকটাসের কথা তো আগেই বলেছি। এখানে সোনালি ওক গাছ রয়েছে। এর মাঝখান দিয়ে হেঁটে গেলে অনেকটা ব্লাক ফরেস্টের অনুভূতি পাওয়া যায়।

দার্জিলিং যাওয়ার পথে কার্শিয়াং শহরের কথা বলেছিলাম। সেটিও কালিম্পং লাগোয়া। দার্জিলিং থেকে কার্শিয়াংয়ের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। গড় উচ্চতা অবশ্য কালিম্পং এর চেয়ে বেশি- ১৪৫৮ মিটার। তবে দার্জিলিং এবং কালিম্পং পর্যটকদের কাছে যতটা পরিচিত; ততটা শোনা যায়নি এর নাম। তবে এটি মোটেও ওই দুটোর চেয়ে সৌন্দর্যের দিক থেকে পিছিয়ে নেই। এটা সবসময়ই আরামদায়ক স্থান হিসেবে বিবেচিত। গ্রীস্মকালেও ঠান্ডা, শীতকালে দার্জিলিংয়ের চেয়ে কম ঠান্ডা। কার্শিয়াং এর স্থানীয় নাম থার্সাং। লেপচা ভাষায় (স্থানীয়দের ভাষা) যার অর্থ সাদা অর্কিডের দেশ। তার মানে কালিম্পংয়ের মতোই এখানেও অর্কিড, ক্যাকটাস কিংবা ফুলের চাষ হয়।

ও হ্যাঁ, একটা বিষয় বলা হয় নি। যারা আকাশপথে দার্জিলিং, কালিম্পং কিম্বা কার্শিয়াং যেতে চাইবেন তাদের নামতে হবে বাগডোগরা বিমানবন্দরে। আর ট্রেনে যেতে চাইলে নিকটতম স্টেশন নিউ জলপাইগুড়ি। যা কাশিংয়াং থেকে ৫৩ কিমি দূরে। তার মানে দার্জিলিং থেকে আরো দূরে। কার্শিয়াং অবশ্য এক সময় সিকিমের অংশ ছিলো। বৃটিশরা সিকিমের সম্রাটের কাছ থেকে ১৮৩৫ সালে এটি দখল করে নিয়েছিলো। ১৮৮০ সাল থেকে এটি ব্রিটিশদের বেড়ানোর জায়গায় পরিণত হয়। অসুস্থদের স্বাস্থ্য ফেরানোর প্রচলিত দাওয়াই ছিলো কার্শিয়াং ভ্রমণ। এখানকার সবচেয়ে উঁচু জায়গা ডাউহিল।

মেঘ-পাহাড়ের সাথে মিতালি কালিম্পংয়ের


সিকিম প্রশ্নে আরেকটা তথ্য দিলেন জাহিদ হাসান। আমাদের টিমের মুরুব্বি তিনি। বয়সে এবং অভিজ্ঞতায় সবার চেয়ে এগিয়ে। তিনি জানালেন, আমাদের বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া নাকি তার বক্তব্যে একটি উদাহরণ টানেন। কি সেটি? লেন্দুপ দর্জি। এই লেন্দুপ দর্জি ছিলেন সিকিমের সবশেষ স্বাধীন শাসক। নেপাল, ভুটানের মতো সেটিও ছিলো স্বাধীন রাষ্ট্র। কিন্তু এই লোক ভারতের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তার পর থেকেই সিকিম এক রকমের নিষিদ্ধ শহর হয়ে ছিলো। শুনেছি সম্প্রতি ভারত সরকার পর্যটকদের জন্য সিকিম খুলে দেয়ার চিন্তা করছেন। ঘোষণা অবশ্য এসেছে কিন্তু সেটি এখনো কার্যকর হয়নি। ইচ্ছে আছে একবার সিকিম-গ্যাংটক যাওয়ার।

কালিম্পং শহর থেকে আরো উত্তরে যাচ্ছিলাম আমরা। শহর পার হওয়ার পর কেবলই উপরের দিকে উঠছিলাম। পথে পড়লো খেলার মাঠ (রাস্তা থেকে অনেক নিচুতে), স্কুল। দার্জিলিংয়ের পর এই শহরটিও শিক্ষার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছে। খাড়া ঢালু রাস্তা বেয়ে ৬ কিলোমিটার উত্তরে গিয়ে চোখে পড়লো সাইনবোর্ড- দেলো বাইও বোটানিক গার্ডেন।

গার্ডেনের সামনে বেশকিছু গাড়ি। বোঝা গেলো যারা কালিম্পং এ আসেন তারা এটা মিস করেন না। সামনে এগুতেই কিছু লোক এগিয়ে এলেন। প্যারাগ্লাইডিং করব কি না। আমাদের টিমের ফিরোজ আলম আর মিলটন খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু টিকিট ৩৫০০ রুপি শুনে দমে গেলেন। আমি বললাম, টাকা আমি দেব উঠেন। তবু উঠলেন না। আমি কখনোই এটা করব না, হাইট ফোবিয়া আছে আমার। লম্বা নৌকোর পালের মতো একখন্ড কাপড়ের উপর ভর করে এতো উঁচুতে ওঠা আমার পক্ষে সম্ভব না। উল্টো ৩৫০০ রুপি দিলেও না।

গার্ডেনের ভেতর ঢুকেই কিছু পরামর্শ দেয়া হলো টিমের সদস্যদের। বিকেল পাঁচটার মধ্যে সবাইকে গেইটে হাজির থাকতে হবে। দুটো গ্রপ ছবি তোলা হবে। এরপর সবাই ফ্রি। যে যেদিকে ইচ্ছে ঘুরতে পারেন।

তখনো বুঝতে পারছিলাম না, ওই ট্যুরের সবচেয়ে মজার দিনটি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলো।

** 




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ জুন ২০১৮/অগাস্টিন সুজন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়