ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

১৪৫৬ কোটি টাকার সাত প্রকল্প অনুমোদন

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১০, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১৪৫৬ কোটি টাকার সাত প্রকল্প অনুমোদন

বিশেষ প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগসহ ১ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকার সাতটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ ছাড়াও কমিটি চারটি প্রকল্পে অতিরিক্ত ব্যয় সংক্রান্ত চারটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।

বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে এসব ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু সেতুতে যানবাহনের চাপ কমানো ও ট্রেন চলাচলের সক্ষমতা বাড়াতে যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রস্তাবিত রেল সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাই ও বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের কাজ পেয়েছে জাপানের ওরিয়েন্টাল গ্লোবাল কনসালট্যান্টস লিমিটেড। পাশাপাশি সেতুটির নির্মাণ কাজ তদারকিও করবে প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য সরকারের ব্যয় হবে ৭৯৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। জাপানের অর্থায়নে ৮৮ মাসের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগির সংস্থাটির সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হবে।

নকশা প্রণয়নসহ যমুনা রেল সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে এটি নির্মাণ করবে রেলওয়ে। গত ডিসেম্বরে দেশের বৃহত্তম এ রেল সেতু নির্মাণ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা অনুমোদন করে সরকার। এরপর পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। দরপত্রে তিনটি কোম্পানি অংশ নিলেও সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে ওরিয়েন্টাল গ্লোবাল কনসালট্যান্টস।

সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন রেল সেতু নির্মাণ করা হবে। এজন্য পৃথক নদীশাসন করতে হবে না। জমি অধিগ্রহণও খুব বেশি দরকার হবে না। এতে ব্যয় অনেক কম হবে।

বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন ধরনের ৮৩ হাজার ২৭৩টি বিদ্যুৎ খুঁটি ক্রয়ের পৃথক দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে অতিরিক্ত সচিব জানান।

তিনি জানান, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ‘কমপক্ষে ৩৪ হাজার ডিডব্লিউটি সম্পন্ন একটি নতুন প্রোডাক্ট অয়েল/কেমিক্যাল, ক্রুড অয়েল ট্যাংকার ক্রয়’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনসরণ করে একটি নতুন ট্যাংকার ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এজন্য সরকারের ব্যয় হবে ২৮৬ কোটি টাকা।

এ ছাড়াও বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তিনটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাপেক্স কর্তৃক তেল/গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কাজে এসব প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হবে। এ তিনটি ক্রয় প্রস্তাবে মোট ব্যয় হবে ৭৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

এর আগে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে ‘খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ’, ‘সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে চাইনিজ ইকনোমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন গঠন’, ‘চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ডেভেলপার পাওয়ার প্যাক ইস্ট-ওয়েস্ট গ্যাসমিন কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তিনামা অনুমোদন’, ’বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ আইন) ২০১০ এর আওতায় গভীর সমুদ্রাঞ্চলে ব্লক ডিএস-১২ থেকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান/উত্তোলনের লক্ষ্যে পসকো দাইউ করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/হাসনাত/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়