ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রান্নায় ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকার

অগাস্টিন সুজন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ৮ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রান্নায় ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকার

অগাস্টিন সুজন : মানুষের দেহে কর্মশক্তি জোগায় খাদ্য। স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাদ্যের জন্য রান্নাটা হওয়া প্রয়োজন নিরাপদ ও ঝামেলাহীন।

কিন্তু গ্যাস-সংকট, এলপিজি (সিলিন্ডার) গ্যাসের তুলনামূলক উচ্চমূল্য এবং ইনফ্রারেড কুকারে রাক্ষুসে বিদ্যুত খরচ গৃহিণীদের সুস্বাদু রান্নায় অন্তরায় হয়ে দেখা দিয়েছে। আর এর সমাধানে গৃহিণীদের নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রান্নায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকার।

শীত শেষ হলেও গ্যাস-সংকট শেষ হচ্ছে না। রান্না করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গৃহিণীদের। এ অবস্থায় অনেকেই খুঁজছেন বিকল্প। আর বিকল্প ব্যবস্থায় রান্না করতে জুড়ি নেই ইন্ডাকশন কুকারের।

ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সূত্র মতে, ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকার সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি। এতে কম সময়ে, কম বিদ্যুত খরচে রান্না হচ্ছে। সেইসঙ্গে সর্বোত্তম নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক শক বা দুর্ঘটনার কোনো সম্ভাবনা নেই। ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকারে তাপমাত্রা দ্রুততার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অটোটাইম সেট করে রান্নার ফাঁকে করে নেওয়া যায় অন্যান্য কাজও।

এ প্রসঙ্গে ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (হোম অ্যাপ্লায়েন্স) বিভাগের ইনচার্জ মোহাম্মদ খায়রুল বাশার বলেন, অনেকে মনে করেন ইন্ডাকশন কুকারে রান্নার খরচ বেশি। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভ্রান্ত ধারণা। ইন্ডাকশন কুকারে রান্নার খরচ গ্যাস সিলিন্ডার এবং ইনফ্রারেড কুকারের চেয়ে কম। ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকারে অতিরিক্ত বিদ্যুত খরচ হয় না। যেমন একটি পরিবারের রান্নার জন্য গ্যাস সিলিন্ডারে যদি মাসিক ১৫০০ টাকা খরচ হয়, সেখানে ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকারে খরচ হবে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।

তিনি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে বলেন, রান্নার শুরুতে পাত্রকে উত্তপ্ত করতে যে পরিমাণ শক্তি ব্যয় হয়, পাত্রটি গরম হয়ে যাবার পর ওয়ালটন কুকার বুঝে নেবে কখন কি পরিমাণ তাপ প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী বিদ্যুত গ্রহণ করে। এতে বিদ্যুত সাশ্রয় হয়। এছাড়া মাল্টি ইন্টেলিজেন্ট কুকিং টেকনোলজি ব্যবহার করায় বিভিন্ন মোডে (যেমন বয়েল, কুক, স্যুপ, ফ্রাই ইত্যাদি) রান্নার সুবিধা রয়েছে।

ওয়ালটনের অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর (ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়ান্স) এস. এম. মাইনুল ইসলাম জানান, ইন্ডাকশন কুকারে চুম্বকে আকৃষ্ট হয় এমন ধরণের পাত্র যেমন স্টেইনলেস স্টিল, কাস্ট আয়রন, এনামেল্ড স্টিল ইত্যাদি ব্যবহার করতে হয়। যা বিদ্যুত সাশ্রয়ী, রান্নাও হয় দ্রুত। অন্যদিকে ইলেকট্রিক চুলায় যে পাত্র দিয়ে রান্না করা হয় সেগুলো ইনফ্রারেড কুকার, যা এক প্রকার কয়েল। বাসা বাড়িতে এই চুলা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। এছাড়া ইনফ্রারেড-এ রান্নার জন্য সময় লাগে অনেক বেশি, বিদ্যুত বিলও উঠে বেশি। তাছাড়া ইনফ্রারেড কুকারে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেশি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকারে রয়েছে শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উচ্চ ভোল্টেজ অথবা নিম্ন ভোল্টেজে যাতে কুকার ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য রয়েছে অটো অফ ব্যবস্থা। ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকারে ব্যবহৃত হয়েছে মজবুত সিরামিক গ্লাস যা ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যন্ত সহ্য করতে পারে। কুকারের তাপমাত্রা যেন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য একাধিক সেন্সর আছে যা কুকারের তাপমাত্রাকে অটো নিয়ন্ত্রণ করে।

বাজারে বর্তমানে বেশ কয়েক ধরনের ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকার পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে ডব্লিউআই-এফ১৫ মডেলের ইন্ডাকশন কুকারটির সঙ্গে উপহার পাওয়া যাচ্ছে আকর্ষণীয় একটি ফ্রাইপ্যান। কুকারটির দাম মাত্র ৩ হাজার ৩০০ টাকা।

অনলাইনের মাধ্যমে ওয়ালটন ই-প্লাজা থেকে কিনলে পাঁচ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে। কুকারটিতে এক বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টিসহ টেকনিক্যাল ত্রুটিতে দুই মাসের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা থাকছে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ মার্চ ২০১৭/সুজন/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়