ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বিনা শুল্কে ২০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার আমদানির দাবি

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৭, ১৮ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিনা শুল্কে ২০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার আমদানির দাবি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ব্যক্তি পর্যায়ে বিনা শুল্কে ২০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার আনার সুযোগ চায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এ ছাড়া জুয়েলারি শিল্পের স্বার্থে মোট বিক্রয়ের উপর ৩ শতাংশ ভ্যাট দাবি করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় বাজুস এ দাবি করে।

সংগঠনটি বলছে, উচ্চ শুল্ক আরোপের কারণে দেশে সোনা চোরাচালান বেড়েছে। এতে করে বিকাশমান জুয়েলারি শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাই এ শিল্প রক্ষায় আগামী বাজেটে বিদেশ থেকে সোনা আমদানি শুল্ক হ্রাস করা প্রয়োজন।

আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্রবাসী বাংলাদেশি ও ব্যাগেজ রুলসের আওতায় বিদেশ থেকে বিনা শুল্কে ২০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার এবং ২৩৪ গ্রাম সোনার বার প্রতি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ৫০০ থেকে ১০০ টাকা শুল্ক পরিশোধ করে আমদানির সুযোগ চেয়েছে সংগঠনটি।

সমিতির সহ-সভাপতি এনামুল হক শামীম এ বিষয়ে বলেন, বর্তমানে দেশে সোনার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বাজারে সোনার বৃহৎ অংশের যোগান আসে কালোবাজার এবং বিদেশ থেকে। মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ব্যবসায়ী দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সোনা ক্রয় করে। বাকিরা কালোবাজার ও ভারত থেকে সোনা সংগ্রহ করে।

এনবিআর চেয়ারম্যানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এমন কোনো কর আরোপ করবেন না যাতে চোরাকারবারীরা উৎসাহিত হয়। করের কাঠামো এমন করা উচিত যেন চোরাচালানকৃত সোনার দামের চেয়ে সোনার বাজার দাম কম হয়। এতে সোনার স্বাভাবিক বাজার তৈরি হবে। রাজস্ব আদায়ও বেশি হবে।

তিনি বলেন, এ উচ্চ শুল্ক আরোপের কারণে দেশে সোনা চোরাচালান বেড়েছে। এতে করে বিকাশমান জুয়েলারি শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সোনা আমদানিতে শুল্ক কমানো হলে দেশে চোরাচালান কমে যাবে।

ব্যাগেজ রুলসের আওতায় বর্তমানে এক যাত্রী বিদেশ থেকে বিনা শুল্কে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণালংকার নিয়ে আসতে পারেন। এর বেশি বা ২০০ গ্রাম সোনা নিয়ে আসতে প্রতি ভরিতে ৩ হাজার টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হয়।

ক্রেতা পর্যায়ে সোনা ও রৌপ্য বাবদ কেনাকাটায় মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) হ্রাসের দাবি জানিয়ে জুয়েলারি সমিতি বলছে, বর্তমানে স্বর্ণালঙ্কার কিনলে বিক্রয় মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয় ক্রেতাকে। এ ভ্যাটের হার ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে সমিতি।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রস্তাবনায় আরো বলা হয়, ভারতে স্বর্ণালঙ্কার কেনাকাটায় ১ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। তাই ভারতে গিয়ে স্বর্ণালঙ্কার কেনার প্রবণতা বেড়েছে বাংলাদেশিদের। ১০ লাখ টাকার অলঙ্কার কিনলে বাংলাদেশে ৫০ হাজার টাকা ভ্যাট দিতে হয়। যেখানে ভারতে এর পরিমাণ মাত্র ১০ হাজার টাকা। এতে করে দেশের জুয়েলারি ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তাই আগামী অর্থ বছরে সোনা ও স্বর্ণালংকার এবং ডায়ামন্ড খাতে ৩ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ এপ্রিল ২০১৭/এম এ রহমান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়