ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

৩৫ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে মানিকগঞ্জে

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ১৮ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৩৫ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে মানিকগঞ্জে

কেএমএ হাসনাত : মানিকগঞ্জে ৩৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি কনসোর্টিয়াম অব স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ও শানফেং ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ হলে জাতীয় গ্রিডে আরো ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি খাতে বিল্ড-ওন-অপারেট (বিওও) ভিত্তিতে নির্মিতব্য আইপিপি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে ২০ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ কিনবে সরকার। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত প্রতি কিলোওয়াট/ঘণ্টা বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ টাকা ১২ পয়সা। ১২ শতাংশ ডিসকাউন্ট ফ্যাক্টর ও ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ প্ল্যান্ট ফ্যাক্টরে ২০ বছরে এখান থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার বরুরিয়া মৌজায় এ সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপিত হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে গত বছর ১৩ জানুয়ারি স্পন্সর কোম্পানি দুটি প্রস্তাব দাখিল করে। প্রস্তাব অনুযায়ী, স্পন্সর কোম্পানি নিজস্ব অর্থ ও ব্যবস্থাপনায় প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমির সংস্থান, বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য ট্রান্সমিশন লাইন ও সাব-স্টেশন নির্মাণসহ সম্পূর্ণ প্রকল্প ব্যয় নির্বাহ করবে। এর আওতায় প্রকল্প এলাকা থেকে মানিকগঞ্জ ১৩২/৩৩ গ্রিড উপকেন্দ্রে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার এবং মানিকগঞ্জের বরঙ্গাইলে নির্মিতব্য ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনসহ উপকেন্দ্রের প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণ করবে স্পন্সর কোম্পানি।

সূত্র জানায়, স্পন্সর কোম্পানির প্রস্তাব দাখিলের পর এটি কারিগরী কমিটির দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রকল্পের সাইট পরিদর্শন করা হয়। প্রাথমিক প্রস্তাবে এ বিদ্যুতের ট্যারিফ হার প্রতি কিলোওয়াট/ঘণ্টা ১৫ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিল স্পন্সর কোম্পানি। পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এটা কমিয়ে ১১ টাকা ১২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতি বছর বিদ্যুতের চাহিদা ১০ থেকে ১৪ শতাংশ হারে বাড়ছে। সে হিসেবে আগামী ২০২১ সালে দেশে দৈনিক ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা-২০০৮ অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ এপ্রিল ২০১৭/হাসনাত/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়