ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

হঠাৎ বেড়েছে জিরার দাম

আশরাফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:২১, ১৯ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হঠাৎ বেড়েছে জিরার দাম

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : রমজানকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের মধ্যে মজুদ প্রবণতা বেড়েছে। ফলে সরবরাহে কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে অন্যতম মসলাপণ্য জিরার। এতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে জিরার দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে।

পাইকারি এবং রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে মসলাজাতীয় পণ্য জিরার দাম। বাজারে গত এক সপ্তাহে পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ২০ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর বেড়ে যাওয়ায় দেশে পণ্যটির আমদানি কমেছে। এতে সরবরাহে কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। এ সরবরাহ সংকট জিরার বাজার ঊর্ধ্বমুখী করে তুলছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

মসলা আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দুইদিন ধরে বাজারে সব ধরনের জিরার দাম বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় জিরা (সাধারণ) বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৩৫ টাকায়। গত সপ্তাহে একই মানের এক কেজি জিরা ৩১৫ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আবদুল কাদের বলেন, রান্নায় স্বাদু আর সুঘ্রাণ ছড়াতে মসলার বিকল্প নেই। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে এই ব্যবসায় ভেজাল ঢুকে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমদানির চেয়ে চোরাই পথে ভারতীয় জিরা বেশি আসে। মান একই হলেও দাম কম হওয়ায় বাজারে আমদানিকৃত জিরার তুলনায় এ জিরার চাহিদা বেশি। এক সপ্তাহ আগে চোরাই পথের আসা ভারতীয় জিরা ৩১৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৩২৫ টাকায়।

একইভাবে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে সিরিয়া ও ইরান থেকে আমদানিকৃত জিরার দাম। বাজারে সিরিয়ার প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৩৫৫ থেকে ৩৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে এ জিরা বিক্রি হয়েছিল সর্বোচ্চ ৩৪০ টাকা কেজি দরে। এ হিসাবে তিনদিনের ব্যবধানে সিরিয়া থেকে আমদানি করা জিরার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা।

বাজারে সরবরাহ কম থাকলেও একই সময়ে ইরানি জিরার দামও কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আগে ইরানের ভাল মানের জিরা ৩৪০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৫৫ থেকে ৩৬০ টাকায়। মাঝারি মানের ইরানের প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয় ৩৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ৩৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।

এদিকে এক সপ্তাহে বাজারে মিষ্টি জিরার দামও বেড়েছে। কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়েছে পণ্যটির। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি জিরা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। গত সপ্তাহে একই বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি জিরা ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

বাংলাদেশ গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতি ও মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাফেজ এনায়েত উল্লাহ বলেন, গত সপ্তাহ পর্যন্ত জিরার বাজার স্থির ছিল। শনিবার থেকে পণ্যটির বাজার হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী হয়। জিরার দরবৃদ্ধির প্রধান কারণ সরবরাহ সংকট। দেশে আমদানিকৃত জিরার একটি বড় অংশ আসে ভারত থেকে। ভারতসহ আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানিকারকরা জিরার আমদানি কমিয়েছেন। ফলে এক সপ্তাহ থেকে জিরার সরবরাহ কমেছে। ফলে পণ্যটির দামেও দেখা দিয়েছে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা।

তিনি বলেন, সামনে রমজান আসছে। এ সময়ে জিরার সংকট হবে না। তবে দাম কিছুটা বাড়তে পারে। বিশ্ববাজারে দাম স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দেশে পণ্যটির দাম কমবে না।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ এপ্রিল ২০১৭/আশরাফ/উজ্জল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়