ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বুয়েটে ওয়ালটন প্রেজেন্টস কাউবয় ফেস্ট-২০১৭

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৭, ২০ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বুয়েটে ওয়ালটন প্রেজেন্টস কাউবয় ফেস্ট-২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নজরুল ইসলাম হলে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ওয়ালটন প্রেজেন্টস কাউবয় ফেস্ট অ্যান্ড অ্যালামনাই রিউনিয়ন-২০১৭।’

শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত এ বর্ণাঢ্য আয়োজনের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ছিল দেশের সেরা ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত হলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের স্মৃতিচারণ করেন। নিজেদের স্মৃতির পাশাপাশি তারা দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের বিভিন্ন বর্ণনা দেন।

কর্মকমিশনের সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন বলেন, ‘আমি আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে ওয়ালটনের একটি ওভেন কিনেছিলাম। এ এক আজব জিনিস। আজ পর্যন্ত কোনো ত্রুটি ধরা পড়েনি।

পাশে থাকা আরেকজন শিক্ষক বলেন, আমার বাসার সব জিনিসই ওয়ালটনের। ওভেন, ফ্রিজ, টেলিভিশন সবগুলো খুবই ভাল চলছে। কোনো সমস্যা দেখছি না।’

বুয়েটের মেকানিক্যাল বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বলেন, ‘এর আগেও ওয়ালটন বুয়েটের বিভিন্ন কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছে। যেমন ২০১২ সালে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ওয়ালটন গোল্ডেন স্পন্সর ছিল। বাংলাদেশে ইলেক্ট্রনিক পণ্য উৎপাদনে ওয়ালটন যে এত অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে সেটি এ দেশের জন্য একটি মাইলফলক। বুয়েটের বিভিন্ন কার্যক্রমে দেশীয় কোম্পানি ওয়ালটন এভাবে এগিয়ে আসবে বলে আমি আশা রাখি।’ 

ওয়ালটনের এডিশনাল ডাইরেক্টর, ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-এর হেড অব মনিটরিং অ্যান্ড সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলের প্রাক্তন আবাসিক শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার শাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ‘ওয়ালটন বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক জগতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। বিশেষ করে রেফ্রিজারেটর, এসি, টেলিভিশন, হোম অ্যাপ্লায়েন্স ও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্নক্ষেত্রে ওয়ালটন যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে সেটি একটি যুগান্তকারী বিষয়। বাংলাদেশে এগুলো উৎপাদন করা সম্ভব সেটি ওয়ালটনই করে দেখিয়েছে। কিছুদিন আগে দেশে প্রথমবারের মত ওয়ালটন কম্প্রেসার উৎপাদনকারী ফ্যাক্টরি উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এটি সারা বিশ্বে ১৫তম এবং এশিয়া মহাদেশে অষ্টম। এ ফ্যাক্টরি থেকে বছরে ৪০ লাখ কম্প্রেসার উৎপাদন করা যাবে। ধারাবাহিকভাবে সেটিকে এক কোটি ২০ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত মোবাইল ফোনসেট উৎপাদনকারী কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। ইনশাআল্লাহ্ ওয়ালটন এ বছরের মধ্যে দেশে মোবাইল ফোনসেট উৎপাদন করবে।

সারাদেশে ওয়ালটনের বিক্রয় পরবর্তী সার্ভিসের জন্য ৬৬টি সার্ভিস পয়েন্ট রয়েছে। এ বছরের মধ্যে সেটিকে ৭৫-এ উন্নীত করা হবে। এটি দেশের সবচেয়ে বড় আফটার সেল সার্ভিস নেটওয়ার্ক।’

তিনি বলেন, ‘ওয়ালটন শুধু ব্যবসা করে না, দেশের বিভিন্ন সামাজিক কাজেও অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। তারই ধারবাহিকতার অংশ হিসেবে এ উৎসবে অংশ নেওয়া। ক্রিকেট, সড়কে দুর্ঘটনা রোধে সতর্কতা, ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট বাক্সে ফেলা, খাদ্যে ভেজাল রোধে সচেতনতা ও বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে ওয়ালটন। আশা করি ভবিষ্যতে এ জাতীয় কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত হবে।’

শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ মে ২০১৭/ইয়ামিন/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়