ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ঈদবাজারে ওয়ালটনের ২৬ মডেলের নতুন ফ্রিজ

মিলটন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৬, ১২ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঈদবাজারে ওয়ালটনের ২৬ মডেলের নতুন ফ্রিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদুল ফিতর উপলক্ষে স্থানীয় বাজারে এবার ফ্রিজের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। এই বাড়তি চাহিদাকে ঘিরে ২ লাখেরও বেশি ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটন। যা গত বছরের রমজান মাসের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেশি।

বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ওয়ালটনের শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট ও ডিপ ফ্রিজ। এর মধ্যে নতুন এসেছে ২৬টি মডেলের ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ। যেগুলোতে ব্যাপক ভিত্তিক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী প্রযুক্তির পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে পরিবেশবান্ধব সম্পূর্ণ গ্রিন গ্যাস R600a রেফ্রিজারেন্ট।

ওয়ালটন সূত্র মতে, ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রি বাড়ে। এর সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে অসহনীয় গরম। ফলে এবার ফ্রিজের চাহিদা কিছুটা বাড়তি। আর এই বাড়তি চাহিদা পূরণে বাজারে সর্বোচ্চ সংখ্যক মডেলের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার নিয়ে এসেছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি গড়ে তোলা হয়েছে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ। সরবারহ নির্বিঘ্ন রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কারখানা থেকে ২৪ ঘণ্টা পণ্য পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

জানা গেছে, নতুন আসা ২৬টি মডেলের মধ্যে রয়েছে ১৫টি ফ্রস্ট ও ১১টি নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর। ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি টেম্পারড গ্লাস ডোরের রেফ্রিজারেটর। চোখ ধাঁধানো ডিজাইন ও কালারে তৈরি করা হচ্ছে নতুন মডেলের এসব ফ্রিজ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে টেম্পারড গ্লাস দিয়ে তৈরি হচ্ছে এসব ফ্রিজের ডোর। এ ছাড়া, খাবারকে সতেজ ও টাটকা রাখতে এসব ফ্রিজে ব্যবহার করা হয়েছে ‘ন্যানো হেলথকেয়ার’ এর মতো বিশেষ প্রযুক্তি। যা ফ্রিজের খাবারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া অনুপ্রবেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ করে। নেগেটিভ আয়ন খাবারকে সজীব ও সতেজ রাখে বলে খাবারের স্বাদ থাকে অক্ষুণ্ন ও দুর্গন্ধমুক্ত।

বিপণন কর্মকর্তাদের মতে, ৩২ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ৩৫ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ওয়ালটনের গ্লাস ডোর রেফ্রিজারেটর। দামে সাশ্রয়ী ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের বলে ঈদবাজারে গ্রাহকদের দৃষ্টি এখন ওয়ালটনের গ্লাস ডোর রেফ্রিজারেটরের দিকে।

নন-ফ্রস্টের নতুন মডেলের মধ্যে বাজারে এসেছে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির পাঁচটি মডেলের রেফ্রিজারেটর। এর মধ্যে ৬০ হাজার ৯০০ থেকে ৬১ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে ছাড়া হয়েছে তিন দরজা বিশিষ্ট ইনর্ভাটার প্রযুক্তির ফ্রিজ। নিখুঁত ফিনিশিং, আকর্ষণীয় ডিজাইন, ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও ভেতরে পর্যাপ্ত জায়গা থাকায় ইতিমধ্যে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এসব ফ্রিজ।

পাশাপাশি ব্যাচেলররা ঝুঁকছেন ১৭ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের এক দরজা বিশিষ্ট ওয়ালটনের ব্যাচেলর ফ্রিজের দিকে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল ও ব্যাচেলরদের ব্যবহার উপযোগী ছোট আয়তনের এসব ফ্রিজ বেশ চলছে।



ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এবং ফ্রিজ গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার জানান, ফ্রিজের দরজায় ব্যবহার করা হয়েছে নয় লেয়ার ভিসিএম ডোর। এর ফলে সহজে মরিচা ও দাগ পড়ে না। ডোর হয় দীর্ঘস্থায়ী এবং উজ্জ্বল।

ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. তাহসিনুল হক বলেন, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজের মান নিশ্চিত করেই বাজারে ছাড়া হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথকেয়ার ও অ্যান্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তির ব্যবহার, এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, কম্প্রেসারে ১০ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি, সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা, বিএসটিআইর ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিং, স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী করে দেশেই তৈরি হয় বলে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে ওয়ালটনের ফ্রিজ।

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার বলেন, এবারের রোজায় ২ লাখেরও বেশি ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ওয়ালটন। রমজানের প্রথম ১৩ দিনে বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজারের মতো। তার প্রত্যাশা, বিক্রির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে টার্গেটের চেয়েও বেশি ফ্রিজ বিক্রি হবে।

তিনি জানান, ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে মে, এই ৫ মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে প্রায় ৪৮ শতাংশ বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে।

আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় দ্রুত সর্বোত্তম সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ওয়ালটন। সারাদেশে ৬৭ সার্ভিস সেন্টার চালু রয়েছে। আরো পাঁচটি জেলা শহরে নতুন সার্ভিস সেন্টার চালু হচ্ছে। এর বাইরে ৩০০টিরও বেশি সার্ভিস পয়েন্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন। যেখানে কাজ করছেন ২ হাজার ৫০০ প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।

জানা গেছে, ফ্রিজের বিক্রয়োত্তর সেবায় গ্রাহকদের হোম সার্ভিস দিচ্ছে ওয়ালটন। গ্রাহকরা যেকোনো মোবাইল থেকে ১৬২৬৭ নম্বরে কল করে বছরের ৩৬৫ দিনই পাচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত সেবা। তথ্যপ্রাপ্তির পর গ্রাহকের বাড়িতে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে সার্ভিস প্রোভাইডার। ওয়ালটনের এই সেবা এরইমধ্যে গ্রাহকমহলে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে। বিক্রয়োত্তর সেবায় খুব শিগগিরই অনলাইনভিত্তিক সেবাও চালু হতে যাচ্ছে। গ্রাহক ঘরে বসেই জানতে পারবেন পণ্যটি কোন পর্যায়ে আছে, কখন ডেলিভারি হবে ইত্যাদি।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ জুন ২০১৭/মিলটন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়