ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বর্ষায় ঈদ : বেচাকেনায় বেজায় বিপত্তি

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩০, ১৬ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বর্ষায় ঈদ : বেচাকেনায় বেজায় বিপত্তি

আরিফ সাওন : বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে আষাঢ় মাস। সে হিসেবে এ বছর বর্ষাকালেই পড়েছে ঈদ।

গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও স্বাভাবিক, কোথাও ভারি আবার কোথাও অতি ভারি মাত্রায় বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, ঈদ পর্যন্ত থাকতে পারে এমন বৃষ্টিপাত।

বৃষ্টির কারণে ঈদে কেনাকাটায় বেজায় বিপত্তি ঘটছে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বেশি বিপত্তি ঘটছে ফুটপাতের ঈদবাজারে। বৃষ্টি এলেই পোশাক রক্ষায় মরিয়া হয়ে ওঠেন তারা। তাঁবু বা পলিথিন দিয়ে কোনোমতে রক্ষা করেন পোশাক। আবার বৃষ্টি পড়লে পোশাক কিনতে যেতে ও কেনার আগে-পরে দুর্ভোগে পড়তে হয় ক্রেতাদের।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, আপাতত ‍কিছু দিন বৃষ্টি থাকবে। ঈদ পর্যন্ত এমন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

তিনি জানান, আজ ঢাকায় ভারি বৃষ্টি হয়নি। সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও ঢাকায় ভারি বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই। সিলেট ও চট্টগ্রামে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।  

ভারি বৃষ্টি না হলেও স্বাভাবিক বৃষ্টিতেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে গেছে। ফলে চলাচলে খুব দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

কাজলা এলাকার বাসিন্দা মো. আতিক জানান, আজ বিকেলে তিনি রাজধানীর গুলিস্তানে কেনাকাটারে জন্য আসেন। কাজলা থেকে নয়ানগর আলফালাহ মসজিদ পর্যন্ত সড়কের ওপর হাঁটুপানি জমে আছে। সেই পানি ভেঙে তাকে কেনাকাটা করতে আসতে হয়েছে।



রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে দেখা যায় ভ্যানে করে জুতা বিক্রি করছেন এক যুবক। ভ্যানের সঙ্গে ঝোলানো রয়েছে একটি ছোট তাঁবু। মো. জসিম উদ্দিন নামের ওই বিক্রেতা জানান, বৃষ্টি শুরু হলে তাঁবু দিয়ে ঢেকে জুতা রক্ষা করেন। তার দাবি বৃষ্টির কারণে ক্রেতা কম।

টি-শার্ট বিক্রেতা মো. টিপু জানান, ২০ রোজার দিকে ক্রেতা সামলাতে হিমশিম খেতে হতো। কিন্তু এ বছর সেরকম ক্রেতা নেই। আগের তুলনায় ক্রেতা খুবই কম। শুক্রবার সকাল থেকে দোকান দিয়ে ফুটপাতে বসলেও সারাদিনে তেমন একটা ক্রেতা আসে না। ইফতারের আগমুহূর্ত থেকে ইফতারের ঘণ্টাখানেক পর পর্যন্ত কিছু ক্রেতা আসে। তবে তাও তুলনামূলক অনেক কম।

প্যান্ট বিক্রেতা মো. মফিজ বলেন, এভাবে যদি ঈদ পর্যন্ত বৃষ্টি হয় তাহলে আমাদের লাভ তো হবেই না বরং এ বছর অনেক লোকসান গুনতে হবে।

এই বিক্রেতা আরো বলেন, তাদের ঠিকমতো ফুটপাতে বসতে না দেওয়ার কারণে অনেক ক্ষতি হচ্ছে।

রাজধানীর মতিঝিল, দৈনিক বাংলা, ফকিরাপুর, গুলিস্তান, পল্টন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে ফুটপাতে ঈদবাজারে ক্রেতা তুলনামূলক কম। তবে ঈদে বিক্রি হতে পারে এমন সম্ভাব্য সব ধরনের পোশাক বিক্রেতা সাজিয়ে রেখেছেন।

ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা জানান, এই ফুটপাতের আয়ের ওপরই নির্ভর করে তাদের সংসার চলে। এ বছর সবদিক থেকেই তাদের ক্ষতি হচ্ছে। ফুটপাতে ঠিকমতো বসতে পারছেন না। শুধু সপ্তাহে শুক্রবার পূর্ণদিবস বসতে পারেন। অন্যদিন ৬টার পর বসতে হয়। এ কারণে তারা ক্রেতা পাচ্ছেন না। এ বছর ক্রেতা বেশি ছুটছেন নিউমার্কেটে। বাকি কয়েকদিন পূর্ণদিবস ফুটপাতে বসতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ জুন ২০১৭/সাওন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়