ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ব্র্যান্ড-সচেতন ক্রেতা বেড়েছে

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ২৪ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ব্র্যান্ড-সচেতন ক্রেতা বেড়েছে

শাহীন ভূঁইয়া ও হাসান

নাসির উদ্দিন চৌধুরী : একটা সময় ছিল যখন পোশাকের বিষয়ে খুব একটা ব্র্যান্ড-সচেতনতা ছিল না। সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এখন ব্র্যান্ডের পোশাকের দিকে ঝুঁকছেন অনেক ক্রেতা। ফলে ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর ব্র্যান্ড শপগুলোতে ভিড় বেড়েছে।

আগের দিনে সাধারণত প্রসাধন সামগ্রীর ক্ষেত্রে ভালো ব্র্যান্ড দেখে কেনা হত। কিন্তু এখন মোটামুটি সব ধরনের পণ্য কেনার ক্ষেত্রে ভালো বা নামকরা ব্র্যান্ড দেখে কিনছেন ক্রেতারা।

ঈদের আগে শেষ কেনাকাটার জন্য রাজধানীর ক্রেতারা ছুটছেন বিভিন্ন শপিংমলের দেশি ও বিদেশি ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোতে। ক্রেতাদের এমন ভিড়ে ব্যবসায়ীরাও খুশি। আর ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে প্রায় সব বিপণীবিতানেই রয়েছে নানা ধরনের ছাড়।

শনিবার পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের পোশাকের দোকানগুলোতে নানা বয়সি ক্রেতার ভিড়। বিশেষ করে, প্লাস পয়েন্ট, ইজি, ওয়েস্টিন, আড়ং, দর্জিবাড়ি, দেশীদশ, ইয়োলো, রিচম্যান, এসটাসি শোরুমে অনেক ভিড়।

 



দোকানিরা জানান, রমজানের শুরুতে ক্রেতার তেমন উপস্থিতি ছিল না। কিন্তু শেষ দিকে বিক্রি বেড়ে গেছে। ক্রেতারা এবার পছন্দের পোশাকের বিষয়ে একটু বেশি সচেতন। তাই দাম একটু বেশি হলেও ব্র্যান্ডের পোশাকের দিকে ঝুঁকছেন। তাই গত কয়েক বছরের চেয়ে এবার বিক্রিও বেড়েছে দ্বিগুণ। চাঁদ রাত পর্যন্ত ভালো বিক্রি হবে বলে আশা করছেন দোকানিরা।

বেসরকারি চাকুরে এস এম আসিফ ইয়েলোতে এসেছিলেন ঈদের পাঞ্জাবি কিনতে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, এখানকার পোশাকের মান ভালো। এ ছাড়া ডিজাইনেও রয়েছে ভিন্নতা। এ ছাড়া ব্র্যান্ডের কাপড়ের বিষয়টি হচ্ছে যে আপনাকে কাপড়ের মান নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। সহজে রং নষ্ট হয় না। তারপরও যদি কাপড়ে সমস্যা হয় তা খুব সহজেই বদলে নেওয়াসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যায়। যা আপনি বাইরের নরমাল দোকানগুলো থেকে পাবেন না। আর ব্র্যান্ড তো ব্র্যান্ডই।

ইজির বিক্রয়কর্মী মো. মামুন জানান, এবার বিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে। আমাদের শোরুমসহ বেশ কয়েকটি শোরুমে প্রবেশ করতে হয়েছে লাইন ধরে।

রঙ বাংলাদেশ ফ্যাশনের দোকান ম্যানেজার মো. শরিফ বলেন, আমাদের ডিজাইন আলাদা। তাই বিক্রি ভালোই হচ্ছে। শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, লং কামিজ এসব চলছে। দাম কম। ভালো পণ্যের কারণে আমরা টিকে আছি।

 



ক্যাটস আইয়ের শোরুমের ইনচার্জ সাইফুদ্দিন জানান, প্রতি বছরই নতুন নতুন ডিজাইনের সবকিছু তৈরি করতে হয়। এ বছরও ক্রেতাদের চাহিদার প্রতি লক্ষ রেখে তা-ই করা হয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদাও রয়েছে। সব মিলিয়ে বিক্রিও ভালো হচ্ছে।

বিদেশি পোশাকের কাছে দেশি ব্র্যান্ড মার খাচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যে মানের মাল (পণ্য) দিই, সেটা ক্রেতারা বুঝতে পারলে বিদেশি মালগুলো কিনত না। ক্রেতারা তো আর জিনিস চেনে না, চেনে চাকচিক্য। তবে অচিরেই তাদের মধ্যে বোধ তৈরি হবে। আমাদের দেশীয় উদ্যোক্তারা আরো ভালো পণ্য ক্রেতাদের উপহার দিবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ জুন ২০১৭/নাসির/হাসান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়