ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কংগ্রেস-বিজেপির মর্যাদার লড়াইয়ে হার-জিতের অপেক্ষা

রাসেল পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০০, ৮ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কংগ্রেস-বিজেপির মর্যাদার লড়াইয়ে হার-জিতের অপেক্ষা

মঙ্গলবার গুজরাট বিধানসভায় বিজেপির নেতারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গুজরাটে ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার তিন আসনে নির্বাচন হচ্ছে।

এ নির্বাচনকে ক্ষমতাসীন বিজেপি ও বিরোধী দল কংগ্রেসের মধ্যে মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখা হচ্ছে। নির্বাচনে হারলে তা হবে হারের পালায় কংগ্রেসের সবশেষ ভরাডুবি।

গুজরাট রাজ্যে রাজ্যসভার তিন আসনে প্রার্থী হয়েছেন চারজন । তিনজন বিজেপির এবং একজন কংগ্রেসের। বিজেপির তিন প্রার্থী হলেন- দলের সভাপতি অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও বলবন্ত সিং রাজপুত। এর মধ্যে বলবন্ত সিং রাজপুত সম্প্রতি কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা আহমেদ প্যাটেল লড়ছেন এক সময়ের দলীয় সহযোগী বলবন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে। মূলত এই নির্বাচনে দুজনের মধ্যে হাড্ডাহড্ডি লড়াই হচ্ছে। ফলে এ নির্বাচনকে বিজেপি ও কংগ্রেসের মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে গুজরাট বিধানসভার ১৭৬ জন এমএলএ ভোট দিয়েছেন। এই বিধানসভার এমএলএ সংখ্যা ১৮২ জন হলেও সম্প্রতি কংগ্রেসের ছয় এমএলএ পদত্যাগ করায় তাদের ভোটাধিকার ক্ষমতা নেই। নির্ধারিত সময়ের আগেই ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।

যেহেতু এরই মধ্যে সব এমএলএ ভোট দিয়েছেন, সেহেতু এখন অপেক্ষা মর্যাদার লড়াইয়ে কে হারেন আর কেইবা জেতেন, তা দেখার।

ভারতে বিধানসভার এমএলএদের ভোটে রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণত সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মনোনিত প্রার্থীই জয়ী হয়ে থাকেন। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তা হয়নি। বিধানসভার এমএলএদের সাফাই ভোটের মাধ্যমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় প্রার্থী রাজ্যসভার এমপি নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

গুজরাটের বিধানসভায় বর্তমানে ভোটের যোগ্য এমএলএ ১৭৬ জন। এর মধ্যে প্রথম ৪৫ জন একজন প্রার্থীকে তাদের সাফাই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারবেন। যারা ভোট দিয়েছেন তারা আর ভোট দিতে পারবেন না। অন্য ৪৫ জন দ্বিতীয় প্রার্থীকে সাফাই ভোট দিতে পারবেন। এভাবে তৃতীয় প্রার্থীর পক্ষে বাকি ৪৫ জন সাফাই ভোট দিতে পারবেন।

গুজরাট বিধানসভায় বিজেপির ১২১ জন এমএলএ আছেন। তাদের প্রথম ৪৫ জন অমিত শাহকে এবং দ্বিতীয় ৪৫ জন স্মৃতি ইরানিকে ভোট দিয়েছেন। বাকি ৩১ জন বলবন্ত সিংকে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু তার জয়ী হতে প্রয়োজন ৪৫ ভোট। লড়াইটা এখানেই। বিধানসভায় কংগ্রেসের ৫১ এমএলএ ছিলেন। ছয়জন পদত্যাগ করায় এখন তাদের হাতে আছে ৪৫ জন। কিন্তু তাদের মধ্যে দুই-তিনজন বলবন্ত সিংকে ভোট দেবেন বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন। ফলে কংগ্রেসের আহমেদ প্যাটেলের জয়ের জন্য অন্য দলের এমএলএদের ভোট প্রয়োজন হবে।

কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেল। নির্বাচনে জেতার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী । কিন্তু যদি হেরে যান, তবে এটি হবে কংগ্রেসের কাছে মরার ওপর খাড়ার ঘায়ের মতো। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ আগস্ট ২০১৭/রাসেল পারভেজ/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়