ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

৪২ বলে সেঞ্চুরি

সংখ্যায় আফ্রিদির যত রেকর্ড

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০১, ২৩ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সংখ্যায় আফ্রিদির যত রেকর্ড

৪৩ বলে ১০১ রান করার পথে শট খেলছেন শহীদ আফ্রিদি

ক্রীড়া ডেস্ক : ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্ল্যাস্টে মঙ্গলবার রাতে হ্যাম্পশায়ারের হয়ে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে করে শহীদ আফ্রিদি যত রেকর্ড ভেঙেছেন আর মাইলফলক ছুঁয়েছেন:

৪২- আফ্রিদির ৪২ বলে সেঞ্চুরিটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার প্রথম তিন অঙ্ক ছোঁয়া ইনিংস। টি-টোয়েন্টিতে এটি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। ২০১২ বিপিএলে বরিশাল বার্নার্সের হয়ে আহমেদ শেহজাদের ৪০ বলে সেঞ্চুরি সবচেয়ে দ্রুততম। আফ্রিদির সেঞ্চুরিটা ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে চতুর্থ দ্রুততম। আর সব মিলিয়ে যৌথভাবে দ্বাদশ দ্রুততম। ২০১৩ সালে ক্রিস গেইলের ৩০ বলে সেঞ্চুরি সবচেয়ে দ্রুততম।

২২২- টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি পেতে আফ্রিদির লেগেছে ২২২ ইনিংস। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসেই আর কারও প্রথম সেঞ্চুরি পেতে ২০০ বা এর বেশি ইনিংস লাগেনি। আগের রেকর্ড ছিল আরেক পাকিস্তানি উমর আকমলের (১৮৭ ইনিংস)। এরপর আছেন বিরাট কোহলি (১৮১ ইনিংস), আন্দ্রে রাসেল (১৮০ ইনিংস)। কালকেরটি ছিল আফ্রিদির ২৫৬তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ম্যাচের হিসাবে প্রথম সেঞ্চুরি পেতে আর কেবল রাসেলের ২০০ এর বেশি ম্যাচ লেগেছিল (২১৮ ম্যাচ)।

৩৭- ৩৭ বছর ১৭৪ দিন, টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি পেতে সবচেয়ে বয়স্ক পাকিস্তানি এবং সব মিলিয়ে ষষ্ঠ বয়স্ক ব্যাটসম্যান আফ্রিদি। সব মিলিয়ে রেকর্ডটা পল কলিংউডের (৪১ বছর ৬৫ দিন), আফ্রিদির চেয়ে বয়স্ক অন্য চারজন- সনাৎ জয়াসুরিয়া (৩৮ বছর ৩১৯ দিন), গ্রায়েম হিক (৩৮ বছর ৪৩ দিন), শাইমান আনোয়ার (৩৮ বছর ৩০ দিন) এবং শচীন টেন্ডুলকার (৩৭ বছর ৩৬৫ দিন)।

২০- আফ্রিদির ওপেনার সঙ্গী ক্যালভিন ডিকসনের বয়স ২০ বছর, তিনি জন্মেছিলেন ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে, আফ্রিদির আন্তর্জাতিক অভিষেকের এক মাস পর!

১৭৬.০৫- টি-টোয়েন্টিতে ওপেনার হিসেবে আফ্রিদির স্ট্রাইক রেট এটি, যা এই ফরম্যাটে কমপক্ষে ৫০০ রান করা ওপেনারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। আফ্রিদি তার ক্যারিয়ারের ২২২ ইনিংসের মধ্যে মাত্র ২১টিতে ওপেনার হিসেবে ব্যাট করেছেন। এই ২১ ইনিংসে ৩০৯ বলে তার রান ৫৪৪, স্ট্রাইক রেট ১৭৬.০৫। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লুক রনকির (১৭১.০৩ স্ট্রাইক রেটে ৭৪৪ রান)। টি-টোয়েন্টিতে আফ্রিদির ১০ ফিফটি-প্লাস ইনিংসের পাঁচটি এসেছে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে।

৯৮১- ইংল্যান্ডে আফ্রিদির টি-টোয়েন্টি রান এটি, যা কোনো দেশে আফ্রিদির সর্বোচ্চ। পাকিস্তানে তার রান ৭৩৪, আরব আমিরাতে ৫৭৮। এই ফরম্যাটে আফ্রিদির আগের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৮০। সেটিও হ্যাম্পশায়ারের হয়ে, ২০১১ সালের সেমিফাইনালে সমারসেটের বিপক্ষে। তার ১০ ফিফটি-প্লাস ইনিংসের ৪টিই ইংল্যান্ডে, ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুটিসহ।

২০- আফ্রিদি ফিফটি ছুঁয়েছেন ২০ বলে, যার তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্রুততম ফিফটি। পেছনে পড়েছে এ বছরের শুরুতে পিএসএলে পেশোয়ার জালমির হয়ে করাচি কিংসের বিপক্ষে ২৭ বলে ফিফটি।

১৮-এবারের ন্যাটওয়েস্ট ব্লাস্টে আগের সাত ইনিংসে আফ্রিদির সর্বোচ্চ রান ছিল ১৮, মোট ৫০। কাল এক ইনিংসেই করলেন এর দ্বিগুণ!

- ইংল্যান্ডে আফ্রিদির ৪ টি-টোয়েন্টি ফিফটি-প্লাস ইনিংসের সবগুলোই নকআউট পর্বে। মঙ্গলবার কোয়ার্টার ফাইনালের ১০১ ছাড়া তিনি ২০১১ সেমিফাইনালে হ্যাম্পশায়ারের হয়ে করেছিলেন ৮০ এবং অন্য দুটি ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে।

২০৫- টি-টোয়েন্টিতে আফ্রিদির ছক্কার সংখ্যা এটি, যা পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার প্রথম পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ২০০ ছক্কার মাইলফলক ছোঁয়া আফ্রিদি তার ১০১ রানের ইনিংসে ৭টি ছক্কা হাঁকান। এদিন তিনি সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৮০০ ছক্কার মাইলফলকও পেরিয়েছেন- প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার ছক্কা ১১৫, লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে ৪৮১, আর টি-টোয়েন্টিতে ২০৫টি= ৮০১।

২৭- আফ্রিদি কাল ১০১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন। এটি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ২৭তম ম্যাচসেরার পুরস্কার। টি-টোয়েন্টিতে আফ্রিদির চেয়ে বেশি ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হয়েছেন কেবল তিনজন- ক্রিস গেইল (৪৮), ডেভিড ওয়ার্নার ও লুক রাইট (২৮)।

তথ্যসূত্র : ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ আগস্ট ২০১৭/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়