ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

চট্টগ্রামে ওয়ালটন ফ্রিজ বিক্রির ধুম

অগাস্টিন সুজন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২২, ২৮ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চট্টগ্রামে ওয়ালটন ফ্রিজ বিক্রির ধুম

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ঈদবাজারে ওয়ালটনের ফ্রিজ কেনার ধুম পড়েছে

অগাস্টিন সুজন : দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদবাজারে ফিরে এসেছে চাঙাভাব। জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। ভিড় বেড়েছে ফ্রিজের শোরুমগুলোতে। সাশ্রয়ী দাম ও উন্নত মানের কারণে ক্রেতাদের আস্থা ও চাহিদার শীর্ষে রয়েছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ওয়ালটন ফ্রিজের ডিপ অংশ অন্যান্য ব্র্যান্ডের ফ্রিজের চেয়ে বড় বলে সবার ঝোঁক এই ব্র্যান্ডের দিকে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে শেষ মুহূর্তের ঈদবাজারে ওয়ালটনের ফ্রিজ কেনার ধুম পড়েছে।

ওয়ালটনের চট্টগ্রাম জোনের (পশ্চিম) এরিয়া ম্যানেজার ইমরুজ হায়দার খান জানান, সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্টি ও বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ক্রেতা সমাগম কম ছিল। কিন্তু ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ওয়ালটন শোরুমে ক্রেতা সমাগম ততোই বাড়ছে। মাসের শেষ সময় হওয়ায় ঈদের বোনাসের সঙ্গে অনেকে বেতনও পাচ্ছেন। ফলে শেষ মুহূর্তে ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে গেছে। তাছাড়া ঈদ উপলক্ষ্যে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় থাকায় ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনতে শোরুমগুলোতে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে। বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। গত কয়েকদিন ধরে বাম্পার সেল হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘ওয়ালটন ফ্রিজের প্রতি এ অঞ্চলের ক্রেতাদের আস্থা ও চাহিদা বেড়েছে। বিক্রয় বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে ওয়ালটনের টেম্পারড গ্লাস ডোরের ফ্রস্ট ফ্রিজ।’ দেখতে সুন্দর বলে এই ফ্রিজ ক্রেতাদের কাছে হট কেকে পরিণত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোরবানির মাংস সংরক্ষণের জন্য অনেকেই একাধিক ফ্রিজ কিনছেন।’

ওয়ালটনের চট্টগ্রাম জোনের (পূর্ব) এরিয়া ম্যানেজার ফাহাদ আহমেদ জানান, তার এলাকায় কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে ফ্রিজ বিক্রির যে টার্গেট নেওয়া হয়েছিল, ইতোমধ্যেই তা পূরণ হয়েছে। ওয়ালটন প্লাজাগুলোতে ক্রেতা সমাগম দেখে আশা করা যাচ্ছে এ সপ্তাহে টার্গেটের দ্বিগুণ ফ্রিজ বিক্রি করা সম্ভব হবে। তিনি জানান, তার অঞ্চলে ভালো চলছে ওয়ালটনের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ। এ ছাড়া একাধিক গ্রাহক সম্প্রতি বাজারে আসা ওয়ালটনের স্মার্ট ফ্রিজের প্রি-অর্ডার দিয়ে রেখেছেন। 
 

চট্টগ্রামের পটিয়ার কলেজ রোডে ওয়ালটন প্লাজায় ফ্রিজ দেখছেন ক্রেতারা


চট্টগ্রামের পটিয়ায় ওয়ালটন প্লাজার ইনচার্জ সালাউদ্দিন খন্দকার জানান, গত কোরবানির ঈদের চেয়ে এবার ফ্রিজ বিক্রি অনেক বেড়েছে। বেশি বিক্রি হচ্ছে বড় ডিপের ফ্রস্ট ফ্রিজ।

এই প্লাজায় ফ্রিজ কিনতে এসেছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দেলোয়ার হোসেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই ফ্রিজ কেনার ইচ্ছে ছিল। টাকাটা একসঙ্গে করতে পারছিলাম না। এবার ঈদের বোনাস মিলিয়ে ফ্রিজ কিনতে এসেছি।’

তিনি বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে জানলাম ওয়ালটন ফ্রিজ দেশেই তৈরি হয়। মানে ভালো এবং দামেও সাশ্রয়ী। বিদ্যুৎ বিল আসে কম। তাছাড়া কম্প্রেসারে ১০ বছরের গ্যারান্টি দেয়া হচ্ছে। তাই এই ব্র্যান্ডের ফ্রিজ কিনবো বলে ঠিক করেছি।’

এদিকে কক্সবাজার এরিয়া ম্যানেজার অলসন চৌধুরী জানান, চলতি বছর ওয়ালটনের ফ্রিজ বিক্রি ভালো হচ্ছে। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি আকারের ফ্রিজের চাহিদা বেশি। এছাড়া লোডশেডিংয়েও দীর্ঘসময় ওয়ালটন ফ্রিজে খাবারের পুষ্টিমান অটুট থাকে বলে এ অঞ্চলে ফ্রস্ট ফ্রিজের চাহিদা বেশি।
 

বড় ডিপের ফ্রস্ট ফ্রিজে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি


ওয়ালটনের বিপণন বিভাগের প্রধান মো. এমদাদুল হক সরকার জানান, কোরবানির ঈদে তাদের টার্গেট ছিল ৫ লাখ ফ্রিজ বিক্রির। ২৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ওয়ালটনের ফ্রিজ বিক্রি ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। যা গত মাসের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি। এছাড়া, চলতি মাসের প্রথম দিনেই বিক্রি হয়েছে লক্ষাধিক ফ্রিজ। যা স্থানীয় বাজারে একদিনে সর্বাধিক ফ্রিজ বিক্রয়ের রেকর্ড। বিক্রির এই ধারা অব্যাহত থাকলে এবং আবহাওয়া অনুকূল থাকলে মাস শেষে বিক্রির টার্গেট ছাড়িয়ে যাবে বলে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ওয়ালটনের প্রকৌশলীরা জানান, ফ্রিজের আকর্ষণীয় ডিজাইন, বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তির ব্যবহার, ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসার তৈরি, পরিবেশবান্ধব আর ৬০০এ গ্যাস, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তির ব্যবহার, বিএসটিআই’র ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিং অর্জন, সাশ্রয়ী মূল্য, সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা এবং দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা - ইত্যাদি কারণে ক্রেতাদের আস্থা ও চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন।

উল্লেখ্য, ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির পাশাপাশি কম্প্রেসারে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। রয়েছে আইএসও স্ট্যান্ডার্ড সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। যার আওতায় সারা দেশে ৭০টি সার্ভিস সেন্টার, ৩০০টিরও বেশি ওয়ালটন প্লাজা এবং কয়েক সহস্র পরিবেশক বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে ২৫০০ প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছেন। দেওয়া হচ্ছে হোম সার্ভিসও।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ আগস্ট ২০১৭/সুজন/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়