ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘ডিজিটাল বাংলাদেশের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে ওয়ালটন’

মিলটন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৯, ৫ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ডিজিটাল বাংলাদেশের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে ওয়ালটন’

নিজস্ব প্রতিবেদক : ওয়ালটনের নবনির্মিত মোবাইল ফোন কারখানা উদ্বোধন করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, ‘দেশের জন্য আজ একটি ঐতিহাসিক দিন, আনন্দের দিন, গৌরবের দিন। এই কারখানা উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশেই মোবাইল ফোন উৎপাদন হবে। আজ সেই স্বপ্নপূরণের সাথী হলো ওয়ালটন। সেই সঙ্গে মোবাইল ফোন উৎপাদনকারি দেশের তালিকায় নাম লেখাল বাংলাদেশ। এজন্য তিনি ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান।

বৃহস্পতিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় দেশের প্রথম স্মার্টফোন কারখানা উদ্বোধন ও পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উচ্চ মানসম্পন্ন হ্যান্ডসেট তৈরির জন্য ওয়ালটন বদ্ধপরিকর। মানসম্পন্ন হ্যান্ডসেট তৈরির ক্ষেত্রে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) এর যে সকল মানদণ্ড রয়েছে তা পূরণ করেই স্মার্টফোন কারখানা স্থাপন করেছে ওয়ালটন। তারা প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে যাবার দৃঢ় প্রত্যয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত। সে কারণেই তারা মোবাইল ফোন তৈরির অনুমোদন পেয়েছে। এখন আমাদের দায়িত্ব তাদের অগ্রযাত্রাকে মসৃণ করা। যার যার অবস্থান থেকে ওয়ালটনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন-বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর তুলনায় প্রতিযোগী সক্ষমতায় এগিয়ে থাকবে দেশে তৈরি ওয়ালটন স্মার্টফোন।’

দেশে তৈরি উচ্চমানের মোবাইল হ্যান্ডসেট সাশ্রয়ী মূল্যে এবং কিস্তিতে মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভর করতো হতো। প্রচুর সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এ খাতে দেশীয় শিল্পের বিকাশ মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল। ওয়ালটন স্মার্টফোন কারখানা স্থাপনের মধ্য দিয়ে সেই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটলো। তিনি আশা করেন-দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের বাজারেও যাবে বাংলাদেশে তৈরি মোবাইল হ্যান্ডসেট।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছলে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান এসএম শামসুল আলম, ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম রেজাউল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম মঞ্জুরুল আলম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান, সিরাজুল ইসলাম, আলমগীর আলম সরকার, সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর এস এম রেজওয়ান আলম ও উদয় হাকিম, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর ফিরোজ আলম ও জাহিদ আলম, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।

 



প্রতিমন্ত্রী তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ওয়ালটন স্মার্টফোন কারখানার প্রোডাকশন লাইন, পিসিবি (প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড) বা মাদারবোর্ড তৈরির এসএমটি (সার্ফেস মাউন্টিং টেকনোলজি) সিস্টেম, হ্যান্ডসেটের ডিজাইন ডেভেলপ বিভাগ, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ, মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও টেস্টিং ল্যাব ঘুরে দেখেন। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রায় ৫০ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে গাজীপুরের চন্দ্রায় গড়ে তোলা হয়েছে ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এখানে রয়েছে হ্যান্ডসেটের ডিজাইন ডেভেলপ, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ, মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও টেস্টিং ল্যাব। স্থাপন করা হয়েছে বিশ্বের লেটেস্ট জাপান ও জার্মান প্রযুক্তির মেশিনারিজ। কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় এক হাজার লোকের।

প্রাথমিকভাবে এখানে উৎপাদন হবে বার্ষিক ২৫ থেকে ৩০ লাখ ইউনিট হ্যান্ডসেট। স্থাপন করা হয়েছে ৬টি প্রোডাকশন লাইন। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরো ১০টি প্রোডাকশন লাইন স্থাপনের কাজ। গড়ে তোলা হয়েছে প্রয়োজনীয় কাঁচামালের পর্যাপ্ত মজুদ।

দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে একটি শক্তিশালী পণ্য উন্নয়ন ও গবেষণা বিভাগ এবং টেস্টিং ল্যাব। রয়েছে শক্তিশালী মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। যেখানে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের উচ্চ গুণগতমান কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হবে।

আরো পড়ুন :



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ অক্টোবর ২০১৭/মিলটন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়