ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দেড় লাখ টন চাল, ৫০ হাজার টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০০, ৬ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দেড় লাখ টন চাল, ৫০ হাজার টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত

বিশেষ প্রতিবেদক : দেশের খাদ্য ঘাটতি মেটাতে সরকারি পর্যায়ে আরো দেড় লাখ টন সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া ৫০ হাজার টন গম আমদানিসহ আটটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

ভারত থেকে এ চাল আমদানি করা হবে। প্রতি টন চালের দাম পড়বে ৪৪০ ডলার। এতে সরকারের মোট ব্যয় হবে ৫৪৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে প্রতি টন ৪৪০ ডলার দরে দেড় লাখ টন সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব ক্রয় কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। দেড় লাখ টন চাল আমদানিতে মোট খরচ হবে ৫৪৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান নাফিড লিমিটেড এ চাল সরবরাহ করবে।  ঋণপত্র খোলার ৬০ দিনের মধ্যে সব চাল সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। ঋণপত্র পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ১৫ হাজার টন চালের প্রথম চালান বাংলাদেশে আসবে। ভারতকে ২০১৭ সালে উৎপাদিত চাল সরবরাহ করতে হবে। আর এই চালে ৫ শতাংশ ভাঙা দানাসহ অন্যান্য প্যারামিটারে বাংলাদেশ কোনো ছাড় না দেওয়ায় চালের দাম একটু বেশিই পড়ছে বলে একজন কর্মকর্তা জানান।

চালের সরকারি মজুদ নেমে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরে ১৫ লাখ টন চাল এবং ৫ লাখ টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান ছাড়াও কয়েকটি দেশ থেকে সরকারিভাবে ধাপে ধাপে গম ও চাল আমদানি করা হবে। এর আগে গত ১৮ অক্টোবর ভারত থেকে ১ লাখ টন সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, বৈঠকে অপর এক প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন গম আমাদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতি টন গমের দাম ২৪৫ দশমিক ৩৫ ডলার হিসেবে ৫০ হাজার টন গম আমদানিতে মোট খরচ হবে ১০১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। মেসার্স সিংসং নামের একটি প্রতিষ্ঠান সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে এ গম সরবরাহ করবে।

তিনি বলেন, ‘কুমার নদ পুনঃখনন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একটি ৬-ভেন্ট রেগুলেটর, ৪৪ দশমিক ৩৯৭ কিলোমিটার মরা কুমার নদ খনন, ৯ দশমিক শূন্য ৯৫ কিলোমিটার মান্দারতলা খাল পুনঃখনন এবং আরসিসি পাকা ঘাট ও মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের ঘর নির্মাণ কাজ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এজন্য ব্যয় হবে ১৭৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর আওতায় ‘রূপকল্প-৩’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘মাদারগঞ্জ-১’ কূপ এলাকায় যাওয়ার জন্য নতুন রাস্তা নির্মাণসহ বিদ্যমান সংযোগ রাস্তা মজবুত ও উন্নয়ন কাজ সংক্ষিপ্ত সময়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা নিয়োগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। মেসার্স অন্বেষা লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এজন্য ব্যয় হবে ১৪১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

এছাড়া বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আরো তিনটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ ডিসেম্বর ২০১৭/হাসনাত/রফিক  

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়