ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সাংসদ সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসিতে দুদকের চিঠি

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২০, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সাংসদ সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসিতে দুদকের চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ময়মনসিংহ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নির্বাচনী হলফনামায় প্রায় সাড়ে ৫৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে তিনি নৈতিকতা পরিপন্থী কাজ করায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে।

দুদক সচিব ড. শামসুল আরেফিন সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি গত ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন বরাবর পাঠানো হয়েছে।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত হলফনামায় স্থাবর-অস্থাবর মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদের হিসাব দেন। কিন্তু এর আগে ওই একই বছর এনবিআরের কর অঞ্চলে ৫৬ লাখ তিন হাজার ৮৭৬ টাকার সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে ৩ লাখ তিন হাজার হেবা সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তিনি কোথাও উল্লেখ করেননি। অর্থাৎ তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯ লাখ ৬ হাজার ৮৭৬ টাকা।

দুদক জানায়, অনুসন্ধানে দেখা যায়, সালাহউদ্দিন আহমেদ ৫৪ লাখ ৫৬ হাজার ৮৭৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। যা তিনি নির্বাচনী হলফনামায় প্রকাশ করেননি। কমিশন মনে করে, হলফনামায় তিনি অসত্য তথ্য দিয়ে নৈতিকতা পরিপন্থী কাজ করেছেন। তাই নির্বাচন কমিশনের সচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদক থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৯ অক্টোবর দুদক তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ জারি করেছিল।

এ বিষয়ে দুদক জানায়, সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চলতি বছরের মার্চ মাসে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এর পরপরই দুদকের উপ-পরিচালক শেখ আবদুস সালামকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। আর দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে তদারককারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সালাইদ্দিন আহমেদ চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ মাঠে নিজের মেয়েকে রাজকীয়ভাবে বিয়ে দিয়ে আলোচনায় আসেন। অভিযোগ ছিল, এমপির অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়েসহ দুই মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয় মহাধুমধাম করে। খরচ করা হয় কয়েক কোটি টাকা। বিয়েতে অতিথি ছিলেন প্রায় ১৫ হাজার। জবাই করা হয়েছিল ৫০০টি ছাগল।

বড় মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হলেও ছোট মেয়ের বয়স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ছোট মেয়ে ২০১৬ সালে ময়মনসিংহ সদরের গলগণ্ডা এলাকার মিফতাহুল জান্নাত মহিলা মাদরাসা থেকে সপ্তম শ্রেণি পাস করে। চলতি ২০১৭ সালে অষ্টম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হলেও মাদরাসায় যায়নি। এমপির বড় মেয়ে ২০১৪ সালে স্থানীয় একটি স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছেন। সনদ অনুযায়ী তার জন্ম ১৯৯৮ সালের ২৫ আগস্টে। বর্তমানে তার বয়স ১৮ বছর ৫ মাস। তার চেয়ে দুই বছরের ছোট ছোট মেয়েটি। সে হিসেবে ছোট মেয়ের বয়স ১৬ বছর ৫ মাসের মতো। অর্থাৎ সালাহউদ্দিন আহমেদ ছোট মেয়েকে বাল্যবিবাহ দিয়েছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।





রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ডিসেম্বর ২০১৭/এম এ রহমান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়