ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা বিএনপির সময় অবহেলিত ছিল’

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০২, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা বিএনপির সময় অবহেলিত ছিল’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি।

শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

চিফ হুইপ বলেন, ‘চার দলীয় জোট যখন ক্ষমতায় ছিল তখন মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোকজন কোনো সুযোগ-সুবিধা পায়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘চার দলীয় জোট ক্ষমতায় থাকাকালীন অনেক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছে, এখন যাদের বয়স নেই। তাই তাদের নাতি-নাতনিদের চাকরির সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মুক্তিযোদ্ধাদের কীভাবে সম্মান বাড়ানো যায় প্রধানমন্ত্রী সে চেষ্টাই করে যাচ্ছেন। এতে তার আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।’

বিদেশি টিভি চ্যানেলের নেতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করে আ স ম ফিরোজ বলেন, ‘পাকিস্তানিরা বাংলা ভাষাকে গলাটিপে হত্যা করে উর্দুকে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। তখন বাসের মধ্যে উঠলেও উর্দুতে কথা বলতে হতো। আবার একটি ভাষা বর্তমানে আমাদের সংস্কৃতিকে গিলে ফেলতে যাচ্ছে। আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে। এখন খুব কম মানুষই দেশীয় চ্যানেল দেখেন, অধিকাংশই বিদেশি সিরিয়াল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এ বিষয়ে সবাইকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। দেশ ও জাতিকে রক্ষার জন্য অন্যদেশের টিভি চ্যানেল বর্জন করতে হবে।’

মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গাজী মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও প্রাক্তন সাংসদ ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, বীরজায়া মিলি রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি ড. শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ রাষ্ট্রীয় এবং জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আদর্শ, দেশবাসী ও বিশ্ববাসীকে জানানোর জন্য প্রকাশ ও প্রচার করাই এ সংগঠনে মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি রাজধানীসহ সকল বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের অফিস ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলছে। যাতে বই, পুস্তিকা ও লিফলেটের মাধ্যমে জনগণের কাছে ব্যাপকভাবে প্রচার করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জনগণ ও নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব হয়।

এ সময় তারা যুদ্ধাহত, শহীদ ও দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পুনর্বাসন, ভাতা বৃদ্ধি, বিভিন্ন পরিবহনে যাতায়াত সুবিধাসহ বেশ কিছু দাবির কথাও উল্লেখ করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ ডিসেম্বর ২০১৭/আসাদ/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়