ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ই-বিআইএন নিবন্ধনের শেষ সময় ৩১ মার্চ

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ২ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ই-বিআইএন নিবন্ধনের শেষ সময় ৩১ মার্চ

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : অনলাইনে ইলেকট্রনিক বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর (ই-বিআইএন) নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এর ফলে যেসব প্রতিষ্ঠান এখনো নতুন ৯ ডিজিটের বিআইএন গ্রহণ করেনি তারা অনলাইনে পুন:নিবন্ধনের জন্য ৩১ মার্চ সময় পাবে। গত ৩১ ডিসেম্বর ছিল ই-বিআইএন  নিবন্ধনের শেষ সময়।

মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে এনবিআর সূত্র আরো জানায়, যেসব প্রতিষ্ঠান ইতিপূর্বে ১১ ডিজিটের বিআইএন গ্রহণ করেছে কিন্তু এখনো নতুন ৯ ডিজিটের বিআইএন গ্রহণ করেনি, সেসব প্রতিষ্ঠানের জন্য অনলাইনে পুন:নিবন্ধনের অর্থাৎ নতুন ৯ ডিজিটের সময়সীমা ৩১ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। অনলাইনে নতুন ৯ ডিজিটের বিআইএন গ্রহণের পর হতেই পুরাতন ১১ ডিজিটের বিআইএনের কার্যকারিতা রহিত হবে। করদাতারা এরপর হতে নতুন বিআইএন উল্লেখ করে চালানপত্র ইস্যুকরণ, মাসিক রিটার্ন দাখিলসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং পুরাতন ১১ ডিজিটের বিআইএন আমদানি-রপ্তানিসহ কোনো প্রকার কার্যক্রমে ব্যবহার করবেন না।

ইতিমধ্যে অনলাইনে সারা দেশে ই-বিআইএন  নিবন্ধন ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে এদের মধ্যে স্বল্পসংখ্যক প্রতিষ্ঠান রিটার্ন জমা দিয়েছেন। তবে শেষ সময়ে নিবন্ধন নেওয়ার চাপ বাড়ছে। তাই এনবিআর মনে করছে সময় বাড়ানোর পর ই-বিআইএন নিবন্ধন ও রিটার্ন জমার হার বৃদ্ধি পাবে।

বর্তমানে ১১ ডিজিটের নম্বর দিয়ে ভ্যাট নিবন্ধন করা হয়। তবে অনলাইনে নম্বর ৯ ডিজিটের। ২০১৮ সালের জানুয়ারির পর ১১ ডিজিটের নম্বরের কার্যকারিতা থাকবে না। এনবিআর বলেছে, পুরনো নম্বর দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব কার্যক্রম চালানো যাবে। রিটার্নও জমা দেওয়া যাবে। এরপর ৯ ডিজিট বাধ্যতামূলক।

এ বিষয়ে এনবিআরের সদস্য (শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন) মো. রেজাউল হাসান বলেন, ডাটা ব্যাংক তৈরির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হলে সবাইকে অনলাইনে নিবন্ধন নিতে হবে। এজন্যই সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

নতুন মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় নেওয়া হয় অনলাইন প্রকল্পটি। আর এজন্য বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে ৫৫১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন দুই বছরের জন্য স্থগিত করায় অনলাইন প্রকল্প বহাল রাখা হবে কি হবে না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। গত অক্টোবরে এনবিআর অনলাইন প্রকল্প অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এবং বিদ্যমান ১৯৯১ সালের ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে এ প্রকল্পের কার্যক্রম চলবে। এ লক্ষ্যে ১৯৯১-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অনলাইন ব্যবস্থাকে পুনঃসংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বর্তমানে সনাতনী সাড়ে ৮ লাখ বিআইএন নিবন্ধন আছে। এর মধ্যে মাত্র ৩২ হাজার বিআইএন নিবন্ধনধারী প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ভ্যাট রিটার্ন প্রদান করে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ জানুয়ারি ২০১৮/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়