ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বাণিজ্য মেলায় ক্রেতাদের আগ্রহ ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকারে

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০২, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাণিজ্য মেলায় ক্রেতাদের আগ্রহ ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকারে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বর্তমানে রাজধানীর অনেক বাড়িতে গ্যাস-সংযোগ নেই। গ্যাস-সংযোগ না থাকায় তাদের প্রতি মাসে বাড়তি টাকা দিয়ে কিনতে হয় গ্যাস সিলিন্ডার। এতে খরচ বেশি। এ সমস্যার সহজ সমাধান ইন্ডাকশন কুকার। এতে সহজে ও নিরাপদে রান্না করা যায়। বিদ্যুৎ খরচও কম।

সাশ্রয়ী মূল্যের উন্নত মানের ইন্ডাকশন কুকার তৈরি করছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে ইন্ডাকশন কুকারে ৭ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত প্রযুক্তির ইন্ডাকশন কুকার হাতের নাগালে পাওয়ায় এর চাহিদাও বেড়েছে।

ওয়ালটন প্যাভিলিয়ন থেকে ইন্ডাকশন কুকার কিনেছেন খিলগাঁও থেকে মেলায় আসা সামসুদ্দিন হাওলাদার। কথা হয় তার সঙ্গে।

সামসুদ্দিন হাওলাদার বলেন, একটি ইন্ডাকশন কুকার কেনা খুব দরকার ছিল। মেলায় ঘুরতে ঘুরতে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে এসে দেখি, এখানে ইন্ডাকশন কুকার পাওয়া যাচ্ছে। মডেলভেদে এ পণ্যে ছাড়সহ একটি ফ্রাইপ্যানও দিচ্ছে ওয়ালটন। দেখতেও খুব সুন্দর। তাই আর চিন্তা না করে কিনে ফেলেছি।



ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের সমন্বয়ক শাহ শহীদ চৌধুরী বলেন, বিকল্প ব্যবস্থায় রান্না করতে জুড়ি নেই ইন্ডাকশন কুকারের। আর গৃহিণীদের নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রান্নায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকার। সারা দেশে ওয়ালটনের আউটলেটগুলোতে ইন্ডাকশন কুকার পাওয়া গেলেও প্রতিবারের মতো এবারও বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে ক্রেতাদের চাহিদার কথা চিন্তা করে সকল পণ্যের উপরে বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ইন্ডাকশন কুকারে ৭ শতাংশ ছাড় দিচ্ছি আমরা।

তিনি আরো বলেন, ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকার সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি। এতে কম সময়ে, কম বিদ্যুৎ খরচে রান্না হচ্ছে। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে। বৈদ্যুতিক শক বা দুর্ঘটনার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করা যায় দ্রুততার সঙ্গে। অটোটাইম সেট করে রান্নার ফাঁকে করা যায় অন্য কাজও।

শাহ শহীদ চৌধুরী বলেন, অনেকে মনে করেন, ইন্ডাকশন কুকারে রান্নায় খরচ বেশি। এটি পুরোপুরি ভ্রান্ত ধারণা। ইন্ডাকশন কুকারে রান্নার খরচ গ্যাস সিলিন্ডার এবং ইনফ্রারেড কুকারের চেয়ে কম। ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকারে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ হয় না।  যেমন: একটি পরিবারের রান্নার জন্য গ্যাস সিলিন্ডারে যদি মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়, সেখানে ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকারে খরচ হবে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। রান্নার শুরুতে পাত্র উত্তপ্ত করতে যে পরিমাণ শক্তি ব্যয় হয়, পাত্রটি গরম হয়ে যাবার পর ওয়ালটন কুকার বুঝে নেবে কখন কী পরিমাণ তাপ প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী বিদ্যুৎ গ্রহণ করে। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। এছাড়া মাল্টি ইন্টেলিজেন্ট কুকিং টেকনোলজি ব্যবহার করায় বিভিন্ন মোডে (যেমন বয়েল, কুক, স্যুপ, ফ্রাই ইত্যাদি) রান্নার সুবিধা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ইন্ডাকশন কুকারে চুম্বকে আকৃষ্ট হয় এমন ধরনের পাত্র (যেমন: স্টেইনলেস স্টিল, কাস্ট আয়রন, এনামেল্ড স্টিল ইত্যাদি) ব্যবহার করতে হয়। যা বিদ্যুৎসাশ্রয়ী, রান্নাও হয় দ্রুত। অন্যদিকে ইলেকট্রিক চুলায় যে পাত্র দিয়ে রান্না করা হয় সেগুলো ইনফ্রারেড কুকার, যা এক প্রকার কয়েল। বাসা-বাড়িতে এই চুলা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। এছাড়া ইনফ্রারেডে রান্নার জন্য সময় লাগে অনেক বেশি। বিদ্যুৎ বিলও ওঠে বেশি। তাছাড়া ইনফ্রারেড কুকারে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেশি। কিন্তু ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকারে রয়েছে শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উচ্চ ভোল্টেজ অথবা নিম্ন ভোল্টেজে যাতে কুকার ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য রয়েছে অটো অফ ব্যবস্থা। ওয়ালটন ইন্ডাকশন কুকারে ব্যবহৃত হয়েছে মজবুত সিরামিক গ্লাস, যা ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যন্ত সহ্য করতে পারে। কুকারের তাপমাত্রা যেন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য একাধিক সেন্সর আছে, যা কুকারের তাপমাত্রাকে অটো নিয়ন্ত্রণ করে।



বর্তমানে চার মডেলের ইন্ডাকশন কুকার পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে, WI-F15 (Induction Cooker with Fry Pan), WI S45, WI-S35, WI S37। যার দাম যথাক্রমে ৩ হাজার ৩০০, ৪ হাজার ৪৫০, ৩ হাজার ৯০০ এবং ৩ হাজার ৭০০ টাকা মাত্র।  এর মধ্যে WI-F15 মডেলের ইন্ডাকশন কুকারের সঙ্গে ৭ শতাংশ ছাড়সহ উপহার হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে আকর্ষণীয় একটি ফ্রাইপ্যান।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ জানুয়ারি ২০১৮/নাসির/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়