ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করব’

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করব’

নিজস্ব প্রতিবেদক : নব নিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, দেশে দৃঢ়ভাবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং প্রতিটি মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য যা কিছু আমার পক্ষে করা সম্ভব, তার সবটুকু আমি করব।

রোববার সুপ্রিম কোর্টের এজলাস কক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও আইনজীবী সমিতির সংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন।

নব নিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি জয়নুল আবেদীন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি এ কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি যে দেশে দৃঢ়ভাবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং প্রতিটি মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য যা কিছু আমার পক্ষে করা সম্ভব, তার সবটুকু আমি করব।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি আশা করব, হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের মতো যেভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছেন ঠিক একইভাবে প্রধান বিচারপতি দায়িত্বপালন করতে গিয়েও তারা তাদের সহযোগিতার হাত আমার দিকে প্রসারিত করবেন।’

তিনি বলেন, ‘বার (আইনজীবী সমিতি) ও বেঞ্চের পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস এবং সহযোগিতা একটি সমৃদ্ধ বিচার বিভাগের ভিত্তি গড়ে তুলবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’

আইন, নির্বাহী ও বিচার বিভাগে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই কেবল একটি দেশ উন্নয়নের পথে অগ্রসর হতে পারে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যেখানে তিনটি অঙ্গের কাজের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব থাকে, সেখানে উন্নয়ন ব্যাহত হয়। এই তিনটি অঙ্গের কাজের মধ্যে যেন সমন্বয় রক্ষা করা যায়, সেজন্য আমি সব সময় চেষ্টা করব। একইসাথে সুপ্রিম কোর্ট যেন সংবিধানের কাঠামোর মধ্যে থেকে সংবিধান অনুসারে তার নিজ দায়িত্ব পালন করে সেটিও আমি নিশ্চিত করতে চেষ্টা করব।’

আদালতের ভাবমূর্তির বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের এমনভাবে আদালতের ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে হবে যেন আদালত প্রাঙ্গনে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে শক্তিমান ও দুর্বল ধনী, গরিব সকলের মধ্যে এই বিশ্বাস জন্মে যে তারা সকলেই সমান এবং আদালতের নিকট থেকে শুধু আইন অনুযায়ী তারা ন্যায় বিচার পাবেন। এতে করে আদালতের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা দৃঢ় হবে।’

মামলার জট প্রসঙ্গে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘মামলার জট আমাদের বড় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজন হবে বারের সক্রিয় সহযোগিতা। মামলা জট আজ শুধু আদালতের একার সমস্যা নয়। এটি বারের জন্যও অস্বস্থির কারণ। মামলার পাহাড় যত জমতে থাকবে, আদালতের সঙ্গে সঙ্গে বারের প্রতিও তেমনি বিচার প্রার্থী মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা কমতে থাকবে। এই সমস্যা সমাধানে বারকেও এগিয়ে আসতে হবে।’

প্রধান বিচাপরপতি আশস্ত করে বলেন, ‘বিচার বিভাগের অগ্রসরতার জন্য যা কিছু করার প্রয়োজন আমি তার সবকিছু করার চেষ্টা করব। বিচার বিভাগের বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি, বিচারকদের জন্য দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, দেশে একটা ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠা, মামলা অনুপাতে বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বিচার প্রক্রিয়ার গতি ত্বরান্বিত করতে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানো ও কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা আমার প্রাথমিক লক্ষ্য।’

বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংবিধানের ৯৫(২)(গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারপতি নিয়োগের আইন প্রণয়ন অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। 



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/মেহেদী/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়