ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান : বাণিজ্যমন্ত্রী

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ৮ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান : বাণিজ্যমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। বাংলাদেশে এখন চমৎকার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে অনুকূল। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয়  সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে।

বৃহস্পতিবার হংকংয়ে হোটেল শেরাটন এইচকেতে প্রাইম সোর্স ফোরাম আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ১৩তম প্রাইম সোর্স ফোরামে ‘দ্য গ্লোবাল ফ্যাশন ইন্ডাষ্ট্রি অ্যান্ড ইকোনমিক অপরচুনিটিস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কি-নোট উপস্থাপনের সময় তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগকারীরা এখন শতভাগ বিনিয়োগ করতে পারবেন, প্রয়োজনে বিনিয়োগকৃত শতভাগ অর্থ এবং লাভ ফিরিয়ে নিতে পারবেন। পণ্য রপ্তানি ক্ষেত্রে ডাবল টেক্স সিসটেম প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে হংকংয়ের বিনিয়োগকারীরা  বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুন্যহাতে যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। এ মার্চ মাসেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল। বাংলাদেশ ১৯৭২-৭৩ সালে ২৫টি পণ্য ৬৮টি দেশে রপ্তানি করে আয় করতো ৩৪৮.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আজ বিশ্বের প্রায় ১৯৯টি দেশে ৭৪৪টি পণ্য রপ্তানি করে আয় করছে প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

‘২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশ। এ সময় মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে আয় হবে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি, রেমিট্যান্স আসছে প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশের অর্থনীতি দ্রত এগিয়ে যাচ্ছে। বড়বড় প্রকল্প বাংলাদেশ সরকার নিজ অর্থে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে’- বলেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক  দেশ উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের রপ্তানির প্রায় ৮১ ভাগ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। জিডিপিতে এ সেক্টরের অবদান প্রায় ১৩ ভাগ। এ শিল্পে জনবল প্রায় ৫০ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগই নারী। দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোকে অত্যাধুনিক করে গড়ে তোলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইউএসগ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল স্বীকৃত ৬৭টি গ্রীন ফ্যাক্টরি রয়েছে। নিবন্ধিত রয়েছে আরো ২২০টি। এবার ইউএস গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল যে ১০টি তৈরি পোশাক ফ্যাক্টরিকে এনার্জি অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) সার্টিফিকেট দিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশের ৭টি রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখলকারী প্রতিষ্ঠান তিনটিও বাংলাদেশের। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত এখন শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

ফোরামে যোগ দিতে বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার রাতে হংকংয়ের  উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। শুক্রবার তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ মার্চ ২০১৮/নঈমুদ্দীন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়