ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

গৃহায়ন খাতে আইডিবি ৮৩০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩২, ১৫ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গৃহায়ন খাতে আইডিবি ৮৩০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে

কেএমএ হাসনাত : বাংলাদেশের গৃহায়ন খাতের উন্নয়নে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ১০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে। আর এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি আগামী মাসে স্বাক্ষরিত হবে। বাংলাদেশী টাকায় এই ঋণের পরিমাণ প্রায় ৮৩০ কোটি টাকা।

সূত্র জানায়, তিউনিসিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য আইডিবি’র পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হতে পারে। জেদ্দা ভিত্তিক এই ব্যাংক ‘বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনকে (বিএইচবিএফসি) এই ঋণ দেবে। গত বছর জুলাই মাসে জেদ্দায় অনুষ্ঠিত বোর্ডের নির্বাহী পরিচালকদের সভায় এই ঋণ অনুমোদন করা হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশের গৃহায়ন খাতে একমাত্র সরকারি মালিকানাধীন বিএইচবিএফসিকে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে একটি শর্ত আরোপ করেছে আইডিবি। শর্তটি হচ্ছে- এই ঋণের বিপরীতে সরকারকে গ্যারান্টি দিতে হবে যে, বিএইচবিএফসি’র পক্ষ থেকে শহর ও গ্রামীণ এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য ‘রুরাল অ্যান্ড আরবান হাউজিং প্রজেক্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় আইডিবি’র কাছ থেকে এই অর্থ পাওয়া যাবে।

বিএইচবিএফসি সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পটির মোট আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ কোটি ৫৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এর মধ্যে ১০ কোটি ৬ লাখ ৪৫ হাজার ডলার আইডিবি’র কাছ থেকে পাওয়া যাবে। বাকি ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিএইচবিএফসি’র নিজস্ব তহবিল থেকে সংকুলান করা হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শহর ও পল্লী এলাকায় আগামী ৫ বছরে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য গ্রাহকদের মাঝে ঋণ বিতরণ করা হবে।

আইডিবি’র ১০ কোটি ডলার ঋণ ১৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে। তবে এর মধ্যে গ্রেস পিরিওড থাকবে ৫ বছর। এই গ্রেস পিরিওডের জন্য সুদ প্রদান করতে হবে। ঋণের সুদের হারের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ‘গ্রেস পিরিওড মার্ক-আপ ১.৫৫% + ছয়মাসিক লাইবর (লন্ডন ইন্টার ব্যাংক লেন্ডিং রেট) এবং গ্রেস পিরিওড পরবর্তী সময় জন্য সুদের হার হবে মার্ক-আপ ১.৫৫%+ সোয়াপ (এসডব্লিউপি) রেট- (যা বর্তমানে ১.৭% রয়েছে)। সর্বসাকুল্য এই ঋণের সুদের হার হবে ২ দশমিক ২৭ শতাংশ।

বিএইচবিএফসি এই ঋণ গ্রাহকদের কাছে ১০ শতাংশ সুদে দেবে এবং তা ৫ বছরের মধ্যে গ্রাহককে পরিশোধ করতে হবে।

এদিকে, বিএইচবিএফসি’র এই ঋণ নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে কীনা তার বিশ্লেষণ করা হয়েছে অর্থ বিভাগের ট্রেজারি বিভাগ থেকে। এতে বলা হয়েছে ২০১৪-২০১৫ অর্থবছর পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটি কর্তৃক প্রদত্ত ঋণের স্থিতির পরিমাণ ছিল প্রায় দুই হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। যার মধ্যে শ্রেণি বিন্যাসিত ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ২০৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। যা প্রদত্ত ঋণের প্রায় ৭ দশমিক ৫২ ভাগ। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির মূলধন ও সঞ্চিতির পরিমাণ ছিল প্রায় একহাজার ৭৯৪ কোটি টাকা। এ হিসেবে প্রদত্ত ঋণের স্থিতি এবং মূলধন ও সঞ্চিতির অনুপাত প্রায় ১:১.৫৩। অন্যদিকে, একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য দায়ের পরিমাণ ছিল ৮১৪ কোটি টাকা। তবে এ পর্যন্ত বিএইচবিএফসি’র বৈদেশিক ঋণের কোনো দায় নেই।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ মার্চ ২০১৮/হাসনাত/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়