ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

‘বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম বাংলাদেশ’

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২১, ১৮ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম বাংলাদেশ’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পর যে সকল বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ আসবে সেগুলো মোকাবিলা করতে বাংলাদেশ সক্ষম।’

বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়ে রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বর্তমান অবস্থানে এসেছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের স্বাধীনতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পকে বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত হয়েছিল। এ শিল্পের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে শিশুশ্রম বন্ধ ও রপ্তানি ক্ষেত্রে কোটা প্রথা বাতিল করে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফলতার সঙ্গে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে এসেছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পর যে সকল বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ সামনে আসবে তা মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ। পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেওয়া জিএসপি সুবিধা জিএসপি প্লাস নামে পাওয়া যাবে। যে সকল দেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রদান করবে না, সে সকল দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করা হবে। এতে করে রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ আরো বেশি বিশ্ববাণিজ্যে সক্ষমতা অর্জন করবে।’

সহিংস কর্মসূচি পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বিগত দিনের অভিজ্ঞতায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলো জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি পরিহার করে নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারায় এসেছে বলে মনে করি। আশা করছি দেশের স্বার্থে দলগুলো যেকোনো সহিংস কর্মসূচি পরিহার করবে। আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল থাকবে।’

‘জাতির পিতার জন্মদিনে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণের সংবাদ বাঙালি জাতির জন্য গৌরবের ও মর্যাদার। একসময় যারা বলেছিল, বাংলাদেশ হলো তলাবিহীন ঝুড়ি, বিশ্বের দরিদ্র দেশের মডেল হবে বাংলাদেশ। আজ বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ এখন বড় বড় প্রকল্প নিজ অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ এখন মর্যাদার আসনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’

ওষুধ শিল্পের রপ্তানি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওষুধ শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি খাত হবে। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় বাংলাদেশের ট্রিপস চুক্তির আওতায় শর্ত শিথিল করে ২০৩৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত উন্নত বিশ্বে ওষুধ রপ্তানির সুযোগ পাওয়ার কথা। স্বাভাবিকভাবেই ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। বাকি সময় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এ সুবিধা ভোগ করবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ বাণিজ্য ক্ষেত্রে অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করবে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পর বিশ্ববাসীর আস্থা অনেক বৃদ্ধি পাবে, দেশে বিনিয়োগ, বাণিজ্যও বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্পেশাল ইকোনমিক জোনে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। বিশ্ববাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পেপারলেস ট্রেডের জন্য বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। বিশ্ববাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।’

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু উপস্থিত ছিলেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ মার্চ ২০১৮/নঈমুদ্দীন/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়