ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

ফের হুমকির মুখে পড়তে পারে আবাসন খাত

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৫, ২০ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফের হুমকির মুখে পড়তে পারে আবাসন খাত

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : রিহ্যাব জানিয়েছে, হাউজ লোনে ব্যাংক সুদের হার দুই অংকের ঘরে ওঠা, আবাসন খাতের নির্মাণসামগ্রী রড সিমেন্ট ও পাথরের দাম বাড়ায় এবং ফ্ল্যাটের দাম ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়ায় ফের হুমকির মুখে পড়তে পারে আবাসন খাত।

খাতটিকে বাঁচাতে দ্রুত সময়ে নির্মাণসামগ্রীর দাম কমানোসহ ব্যাংক সুদের হার কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার  আহ্বান জানিয়েছেন রিহ্যাব নেতারা।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে রিয়েল অ্যাস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) আয়োজিত নির্মাণসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংগঠনের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, খাতটি আবারও বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। দীর্ঘদিনের মন্দা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও অস্থির অবস্থার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে নির্মাণ শিল্প। এ খাতের প্রধান উপকরণ ৬০ গ্রেডের রডের বর্তমান প্রতি টনের বাজার মূল্য ৬৫ থেকে ৬৮ হাজার টাকা এবং ৪০ গ্রেডের রডের বাজার মূল্য ৫৩ থেকে ৫৬ হাজার টাকা। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) হিসেবেও এক সপ্তাহ আগে ৬০ গ্রেডের বাজার মূল্য ছিল ৫২ থেকে ৫৩ হাজার আর ৪০ গ্রেডের রড়ের বাজার মূল্য ৪২ থেকে ৪৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ এক বছরে রডের বাজার মূল্য প্রতি টনে বেড়েছে ২৩ শতাংশ।

একই সাথে বিভিন্ন কোম্পানির সিমেন্টের দাম বেড়েছে বস্তা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং ইটের দাম বেড়েছে হাজারে এক হাজার টাকা। ছয় মাস আগে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রতি বস্তা সিমেন্ট বিক্রি হত ৩৬০ থেকে ৩৯০ টাকায়। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৬০ টাকায়। একই সময়ে পাথর আমদানিতেও খরচ বেড়েছে।

তিনি বলেন, অপ্রত্যাশিতভাবে বর্তমানে গৃহায়ন খাতে ঋণের সুদহার বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে আলাপ আলোচনা করে এই খাতের সুদ এক অংকের ঘরে কমিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সুদের হার আবারও বাড়াচ্ছে। কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমরা অনুসন্ধান করে দেখলাম অধিকাংশ ব্যাংক হোম লোন দুই অংকের ঘরে নিয়ে গেছে। দুই একটি প্রতিষ্ঠানে এই হোম লোনের সুদের হার ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ। ফলে আবাসন খাতে আবারও নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিবে।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিহ্যাবের সিনিয়ির সহ-সভাপতি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ায় ফ্ল্যাটের দাম ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়তে পারে। এতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে। প্রকারভেদে রড়ের দাম টনে অন্তত ১৪ হাজার টাকা কমানো উচিত।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন-রিহ্যাব সহ সভাপতি (প্রথম) লিয়াকত আলী ভূইয়া, পরিচালক কামাল মাহমুদ প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ মার্চ ২০১৮/নাসির/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়