ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বকেয়া আদায়ে ১৫ এপ্রিল হালখাতা

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১২, ১০ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বকেয়া আদায়ে ১৫ এপ্রিল হালখাতা

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : সকল প্রকার বকেয়া কর আদায়ে আগামী ১৫ এপ্রিল রাজস্ব হালখাতা করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

প্রতিটি কর অফিসে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে হালখাতা। বকেয়া কর পরিশোধকারীদের প্রণোদনার (ইনসেনটিভ) পাশাপাশি মিষ্টিমুখ করানো হবে। দ্বিতীয়বারের মতো এবার আয়োজন হবে।

মঙ্গলবার এনবিআর মিলনায়তনে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে বকেয়া করের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। অনাদায়ী বিপুল এই রাজস্বের সাথে বিভিন্ন মামলা জড়িয়ে আছে। তবে মামলা ছাড়া ঠিক কী পরিমাণ বকেয়া কর পাওনা রয়েছে এর সঠিক তথ্য জানাতে পারেননি তিনি।

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘অনাদায়ী অনেক ভ্যাট ও ট্যাক্স আছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এগুলো বছরের পর বছর ধরে আনাদায়ী। করদাতারা কর ফাঁকি দেওয়া ও বিলম্বিত করার সুযোগ খুঁজে। কেউ কেউ আছে ট্যাক্স ধার্য হওয়ায় মামলা করে রাখে। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান কর ফাঁকি দিয়ে দেশ ছেড়েও চলে যায়।’  বর্তমানে যেসব মামলা বিচারধীন আছে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে বকেয়া কর পরিশোধের আহ্বান জানান তিনি।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামী ১৫ এপ্রিল সারা দেশে ‘রাজস্ব হালখাতা ও বৈশাখী উৎসব’ পালন করা হবে। কিছু উপহার দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। যারা বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ করবে তাদের জন্য কিছু ইনসেনটিভেরও ব্যবস্থা করবো।’

প্রাক-বাজেট আলোচনায় গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর  বলেন, আগামী বাজেটে করপোরেট কর কমাতে হবে। সংশোধন আনতে হবে সারচার্জ নীতিতে। আর এখনই নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা উচিৎ।

কর ও পরামর্শ সেবা বিষয়ক আন্তর্জাতিক পেশাজীবী সেবাপ্রতিষ্ঠান প্রাইজ ওয়াটার হাউজ কুপারস প্রাইভেট লিমিটেড (পিডব্লিউসি)’র কৌশলগত অংশীদার ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক মামুন রশীদ বলেন, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে বিনিয়োগের মহাযজ্ঞ দরকার। এতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের বিনিয়োগে সমন্বয় ঘটবে। কর্মসংস্থান বাড়বে, অর্থনীতিতে ভারসাম্য তৈরি হবে। ব্যবসায়ীরা যাতে অর্থের পুন:বিনিয়োগ করতে পারে, সে সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, শেয়ার বাজারকে শক্তিশালী করতে বাজেট ইয়ারি সহায়তা করতে হবে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য বাজেটে করপোরেট কর কমাতে হবে। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কমিয়ে তা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে।

বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ‘ট্রান্সফার প্রাইজিং’ এর মাধ্যমে অর্থপাচার করছে, তা দ্রুতই রোধ করতে হবে। অর্থনীতিবিদদের এসব প্রস্তাবনার কিছু কিছু পর্যালোচনা করা হবে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।

আলোচনায় গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটসহ (পিআরআই) কয়েকটি সংগঠনের অর্থনীতিবিদরা উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/ ১০  এপ্রিল ২০১৮/ এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়